



#মালবাজারঃ কেন্দ্রীয় সরকারের পেনশন নীতির সরলীকরনের দাবী জানিয়ে শেষ হল এন,এফ,রেলওয়ে পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৩৪ তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দুই দিন ব্যাপী সন্মেলন। গত শুক্রবার থেকে মালবাজার শহরের উদিচি হলে এই সন্মেলন শুরু হয়। ত্রিপুরার ধর্মনগর, ডিব্রুগর, আসাম, কাটিহার ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২০০ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দেয়। অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন। 
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সমস্যা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা ও নিয়মনীতির জটিলতার সমালোচনা করা হয়। সন্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শক্তিব্রত কাঞ্জিলাল বলেন, রেলদপ্তর ক্রমাগত পেনশন নীতির জটিলতা বাড়াচ্ছে। এর ফলে নানান সমস্যায় পড়ছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা।আগে পিতা মাতা মারা গেলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পরিবারের অবিবাহিত কন্যা,বিধবা কন্যা সহ অন্যান্য যোগ্য প্রার্থীরা ফ্যামিলি পেনশন পেত। 
সেক্ষেত্রে সেল্ফ ডিকলারেশন ও কোন জন প্রতিনিধির শংসা পত্র থাকলে হয়ে যেত। এখন নিয়ম করেছে কোন সরকারি গেজেটেড অফিসারের শংসা পত্র লাগবে। এতে অনেকে সমস্যায় পড়ছে। আমরা চাই পেনশন নীতির সরলীকরণ। এছাড়া আমাদের ডিএ করোনা কালের ১৮ মাসের বকেয়া রয়েছে। জুলাই মাস থেকে ৪% হারে ডিএ বকেয়া রয়েছে। এতে অনেকের সমস্যা হচ্ছে।কথা ছিল পেনশনার্সদের সমস্যা মেটাতে বছরে দুটি কোর্ট বসবে। ডিসেম্বরের কোর্ট হলেও জুলাইয়ের কোর্ট বসেনি। এতে নিস্পত্তির সমস্যা হচ্ছে। আমরা এই সব বিষয় আলোচনা করেছি। রেলদপ্তরের কাছে সমাধান চাইছি।




এই সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ কর্মকার, কার্যকরী সভাপতি সুভাষ ভাগবতী সহ অন্যান্যরা।












