



#মালবাজার: সামনের বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। উত্তরবঙ্গের চা- শ্রমিকরা পঞ্চায়েত ভোটে একটা বিরাট ফ্যাক্টর। সেই চা-শ্রমিকের ভোট কব্জা করতে গ্রাচুয়িটি ও পিএফ’কে ইস্যু করে চাপানউতর শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসক ও বিরোধীদের। এতেই পুজার মুখে সরগরম হয়ে উঠেছে ডুয়ার্সের রাজনৈতিক মহল। উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকদের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে বর্তমান সময়ে উল্লেখযোগ্য সমস্যা হলো প্রবিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুয়িটি প্রদান।
একথা সবার জানা আছে, প্রবিডেন্টফান্ড ও গ্রাচুয়িটি অবসর প্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের এক বিরাট সহায়ক হয়ে ওঠে। কিন্তু, গত কয়েকদশক ধরে দেখা যাচ্ছে বেশকিছু চাবাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি থেকে টাকা কেটে নিলেও সময়মতো প্রবিডেন্টফান্ডে জমা দেন না।বন্ধ,রুগ্ন সহ বহু চাবাগানের কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। এরফলে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীরা মারাত্মক সমস্যায় পড়ে। গ্রাচুয়িটিও মালিকদের অবসরের ৯০ দিনের মধ্যেই দেওয়ার কথা। বহু চাবাগান কর্তৃপক্ষ এই টাকা সময়মতো দেয় না।
এই কারণে বহু চা-শ্রমিক অবসরের পর অর্থের অভাবে চিকিৎসার করাতে না পেরে মারা গেছে। এমন নজিরও ডুয়ার্সের চাবাগানে আছে। এহেন জলন্ত সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের ক্ষমতাশীন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। গত রবিবার তিনি মালবাজার শহরে তৃণমূল কংগ্রেস চা মজদুর ইউনিয়নের প্রকাশ্য সমাবেশে ভাষন দিতে গিয়ে বলেন, পিএফ নিশ্চিত করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের।
আগামী তিন মাসের যদি এই সমস্যার সমাধান না হয়, তবে পিএফ দপ্তর ঘেরাও করতে হবে। প্রয়োজন হলে জানুয়ারি মাসে বিজেপির ৯ বিধায়ক ও ৩ সাংসদের বাড়ি ঘেরাও করতে হবে। আমিও আসব সেই কর্মসূচিতে”। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের জবাব দিতে গিয়ে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা বলেন, ওনার চেতনা পরে এসেছে। আমরা বহু আগে থেকেই এই বিষয়ে সরব হয়েছি। এই নিয়ে পিএফ কমিশনারের দপ্তরে কয়েকবার চিঠিও দিয়েছি।
কয়েকটি ক্ষেত্রে থানায় এজাহারও করা হয়েছে। কিন্তু, রাজ্য সরকারের পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি”। একধাপ এগিয়ে নাগরাকাটার বিধায়ক পুনা ভেংরা বলেন, অভিষেকবাবুরা আগে ইডি ও সিবিআইয়ের ঘেরাও থেকে মুক্ত হোক। তারপর না হয়, আমাদের ঘেরাও করবেন। এভাবেই পিএফ গ্রাচুয়িটি নিয়ে ডুয়ার্সের রাজনৈতিক মহল সরগরম হয়ে উঠেছে।
