



#হেমতাবাদঃ বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসবের দিন এগিয়ে আসার সাথেসাথে বিভিন্ন পুজো মন্ডপে চলছে জোড় প্রস্তুতি। নাওয়া খাওয়া ভুলে নিজেদের পুজাকে সেরা করতে ব্যস্ত শিল্পীদের পাশাপাশি পুজো উদ্দ্যোক্তারা। একই ছবি হেমতাবাদের প্রতিবাদ ক্লাবেও। হেমতাবাদ হাসপাতাল পাড়ায় অবস্থিত প্রতিবাদ ক্লাবের পুজো এবারে ৫৩ তম বর্ষে পদার্পন করল। এই বছর এই পুজোর সভাপতি হয়েছেন পিনাকি চ্যাটার্জি এবং সম্পাদক হয়েছেন মাইকেল চক্রবর্তী।
প্রতিবছরই নানান অভিনবত্ব ফুটিয়ে তোলে এই পুজো কমিটি। তবে গত ২ বছর ভিলেন করোনার কারনে খানিকটা সাদামাটা ভাবেই পুজো অনুষ্ঠিত হয় এখানে। তবে এবছর করোনানাশের ফলে পুরোনো ছন্দেই পুজোর আয়োজন করছে প্রতিবাদ ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এই বছর থিমকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এখানে।
পুজো উদ্যোক্তা পবিত্র চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এবছরে তাদের থিমের নাম বিবর্তনের ইতিবৃত্ত। এই বিবর্তন মানব জীবনের বিবর্তন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই মডেলের রুপে তুলে ধরা হবে এই মন্ডপে। এরই পাশাপাশি মন্ডপ সজ্জ্বাতেও থাকছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সাধারনত বিভিন্ন পুজো মন্ডপকে আকর্ষণীয় করতে থার্মোকল প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। যা পরিবেশের পক্ষে হানিকারক।
তাই তারা সেই ট্র্যাডিশন থেকে বেড়িয়ে পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্র যেমনঃ তালপাতা, খেজুরপাতা, বাঁশ, কাঠ দিয়ে তারা মন্ডপ কে সাজিয়ে তুলছেন। সঙ্গে থাকছে নানান আলোর খেলা। এছাড়াও পুজো উপলক্ষে থাকছে বস্ত্রদান, রক্তদান সহ নানান সামাজিক কর্মসূচি। যা এবারে ব্লকের গন্ডী ছাড়িয়ে জেলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যাক্তারা।
