



#মালবাজার: জুপিটার গ্রহবাসী কার্টুন জগতের মহা বলবান সাবু যদি একটি আস্ত বাড়িকে উল্টে দেয় তবে দেখতে কেমন হবে? এতদিন পর্যন্ত আমরা কার্টুন চিত্রে কিম্বা পৃথিবীর বিভিন্ন মজার কেন্দ্রে এরকম বাড়িঘরের ছবি দেখেছি। এবার থেকে ডুয়ার্সে এই রকম উল্টো বাড়ির উল্টো জিনিসপত্র দেখা যাবে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের ডায়নানদীর পারে আপার কলাবাড়ি বস্তিতে। ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ও বানারহাট ব্লকের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে দুরন্ত ডায়না নদী।
ডায়নানদীর পুর্ব পারে রয়েছে আংরাভাসা -১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই আংরাভাসা গ্রাম পঞ্চায়েতের আপার কলাবাড়ি বস্তিতে ১৪ একর জমির উপর সেক জিয়াউর রহমান নামের এক পর্যটন ব্যবসায়ী গড়ে তুলেছেন “ডুয়ার্স ফ্যানসিটি” নামের এক পর্যটন কেন্দ্র। সন্ধ্যা হলেই এই বস্তির পাস দিয়ে যাতায়াত করে বুনো হাতি সহ অন্যান্য জন্তুর দল। বিকালে বাঁধের উপর দাঁড়ালে দেখা বনাঞ্চলের উপর আস্তে আস্তে সুর্য্য ডুবছে।
এরকম এক মনোরম স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে উল্টো বাড়ি। এ বাড়ির চাল মাটিতে আর ভিত আকাশের দিকে। বাড়ির প্রবেশ পথে উল্টো ভাবে ঝুলছে এক মারুতি গাড়ি। ঘরের রান্নাঘর, শোয়ার ঘর থেকে রাথরুম সব উল্টো। মাথা উঁচু করে বিছানা, ডাইনিং রুমে সব কিছু দেখতে হবে। সব দেখতে হাসি আসবে। এহেন উল্টো বাড়ি পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। এটাই স্বাভাবিক।বৃহস্পতিবার এই ফ্যানসিটির উল্টো বাড়ির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা রামকুমার ছেত্রী।
উপস্থিত ছিলেন ভ্রমণ পিপাসু সস্ত্রীক নির্মল ভট্টাচার্য, লিসি ভট্টাচার্য ও সুব্রত ব্যানার্জি। লিসিদেবী বলেন, এই জাতীয় কনসেপ্ট পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াবে। সম্ভবত এই উল্টো বাড়ি রাজ্যে প্রথম। এই কেন্দ্রের কর্নধার রহমান সাহেব জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় এরকম উল্টো বাড়ি দেখেছি। সেই ভাবনা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। পর্যটক বিশেষ করে শিশুদের মজা দেবে। নদীর পারে পর্যটকদের নতুন দিশা হবে।মালবাজার শহর থেকে সোজা জাতীয় সরক ধরে বানারহাট অভিমুখে গেলেই পড়বে ডায়না নদী। নদীর বাঁধের উপর দিয়ে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ৫ কিমি গেলেই পড়বে ফ্যানসিটি। চলুন ঘুরে আসা যাক।
