



#দেবলীনা ব্যানার্জী, রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন হয় মূলত কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখা থেকে।প্রাথমিক শিক্ষকরা প্রায়শই ব্যক্তিগত নানান কারনে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন। কিন্তু ২০১৭ সালে নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকারা তাদের স্যালারি অ্যাকাউন্ট রায়গঞ্জ সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকে থাকা সত্ত্বেও সেখান থেকে লোন পাচ্ছেন না।
ফলে সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষকরা। জানা গেছে, ২০১৭ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রাথমিকের নতুন চাকরিতে যোগদান করেছিলেন আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষক শিক্ষিকা। সেই শিক্ষকশিক্ষিকাদের প্রতিমাসে যেখান থেকে বেতন হয়, সেই আরসিসিবি ব্যাঙ্ক তাদের চাকরির অনিশ্চয়তার কথা ভেবে কোনো প্রকার লোন দিতে রাজি হচ্ছিল না।
সরকারি চাকুরিরত হওয়া সত্বেও লোন না পাওয়ার ফলে তারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ছিলেন। অনেকে নতুন বাড়ি তৈরি করতে পারছিলেন না, চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারছিলেন না, এমনকি পরিবারের আপনজনের বিয়েও আটকে থাকছিলো।
এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শুক্রবার আরসিসিবি হেড অফিস রায়গঞ্জে শিক্ষকদের স্বার্থে দাবিপত্র পেশ করা সহ বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রতিনিধি শিক্ষক শিক্ষিকারা।
শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান ছাড়াও এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃত্ব সামিম আলম, অরবিন্দ সিং,রায়গঞ্জ সদর চক্রের সভাপতি গৌতম পাল, দেবলাল ঘোষ, বাসুদেব দাস, অনিমেষ বিশ্বাস প্রমূখেরা।
গৌরাঙ্গ চৌহান জানান, “আরসিসিবি চেয়ারম্যান সহ নতুন বোর্ড কমিটির কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয় যে আর কোনো নতুন শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রয়োজনে প্রত্যেকের লোনের গ্যারান্টার সংগঠনের নেতৃত্বগন থাকবেন। এরপর আরসিসিবি ফেস্টিভাল লোন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের লোনগুলো দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে আশ্বস্ত করে।”
