



#রায়গঞ্জঃ বৃহস্পতিবার সকালে রায়গঞ্জ কুলিক পাখিরালয়ে শুরু হয়েছিল ২দিন ব্যাপী পাখি শুমারী। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে ন্যাফের সদস্যদের সহয়তায় এই গণনায় অংশ নিয়েছিলেন রায়গঞ্জ ফরেষ্ট ডিভিশনের আধিকারিকেরা। এদিন রায়গঞ্জ ফরেষ্ট রেঞ্জের কুলিক পাখিরালয়ের পাখি শুমারীর কাজ শেষ হল।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের জন্য রায়গঞ্জ ফরেষ্ট ডিভিশনের কুলিক পাখিরালয়ের পাখি গননার দিন নির্ধারিত হয় ১৫ ও ১৬ই সেপ্টেম্বর। এবছর প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় পাখির সংখ্যায় পুরোনো রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে আশা করছেন বনদপ্তরের আধিকারিকেরা।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের কুলিক পাখিরালয় হল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শামুকখোল পাখির পাখিরালয়। এখানে ওপেন বিল স্টক, নাইট হেরন, কর্মোরেন্ট, এগরেটের মত পরিযায়ী পাখিদের সাথে প্রচুর দেশীয় পাখির ভিড় দেখা যায়। পাখি গননা করতে এসে স্বেচ্ছাসেবী গৌতম তান্তিয়া বলেন, জলাভূমি ভরাট সহ নানা কারনে পাখিরা আজ সংকটে।
তবুও এই অরণ্য তার স্বাভাবিক পরিবেশ ধরে রাখার চেষ্টা করায় পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, মে মাসের শুরুতেই, এবারে পর্যটক ও পরিযায়ী পাখিদের আগের রেকর্ড ভেঙে যাবে বলে তখন জানিয়েছিলেন কুলিক রেঞ্জের ডেপুটি রেঞ্জার বরুন কুমার সাহা। রায়গঞ্জ ফরেষ্ট ডিভিশনের বনাধিকারিক কমল সরকার বলেন, ‘প্রতি বছরই আমরা কুলিক সহ আশেপাশের এলাকায় সরকারি আধিকারিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গুলোর সহয়তা নিয়ে পাখি গননা করি।
এবছরের পাখি গননা হচ্ছে ১৫ ও ১৬ই সেপ্টেম্বর। এতে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ার্স এন্ড ট্রেকার্স এসোসিয়েশন, উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর এ্যানিম্যালস, রায়গঞ্জ পিপলস ফর এ্যানিম্যালস, ন্যাফ, নর্থ বেঙ্গল ফটোগ্রাফিক ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকেরা অংশ নেয়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এি অরণ্যে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা ছিল ৯৯৬৩১ টি এবং গতবছরে মোট সংখ্যা ছিল ৯৮৭৩৯টি।
