



#মালবাজার: রাত পোহালেই দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার পুজা। সকাল থেকেই কারখানা, গ্যারেজ, কম্পুটার সেন্টার, বাসস্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় বেজে উঠবে কাসরঘন্টা। যারা হাতে কলমে কাজ করেন বা গাড়ি চালান তারা মেতে উঠবে দেবশিল্পীর পুজা ও আরাধনায়। পুজার আগেরদিন তাই সবাই ব্যাস্ত পুজার মুর্তি, ফলমিষ্টি ও দশকর্ম সামগ্রী কিনতে। এতেই জমজমাট ডুয়ার্সের বিভিন্ন হাট ও বাজার।
মালবাজার শহরে কারখানা, গ্যারেজ ও বাড়ি মিলিয়ে প্রায় শ-দুয়েক বিশ্বকর্মা পুজা হয়।ইতিমধ্যেই বাসস্ট্যান্ড, ট্যাক্সিস্ট্যান্ড থেকে গ্যারেজ কারখানা সর্বত্র প্যান্ডেল হয়ে গেছে। এক দিন আগে থেকেই মাইক বাজতে শুরু করে দিয়েছে এদিক ওদিক।
শুক্রবার দিনে আকাশ পরিস্কার থাকায় মৃৎশিল্পী থেকে ফল ও দশকর্মের দোকানীরা তাদের পশরা সাজিয়ে বসেছে। দামও আকাশ ছোঁয়া। একটা ছাঁচের বিশ্বকর্মা মুর্তির দাম ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা।আপেল,কলা, নারকেল সহ অন্যান্য সামগ্রীরা দামও যথেষ্ট উচুতে। তবু কেনাকাটার বিরাম নেই। ওদলাবাড়িতে বাজারে যথেষ্ট ভীড় দেখা গেছে।
ডুয়ার্সে ওদলাবাড়িতে বহু ট্রাক, ডাম্পার ও জেসিবি রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সবাই পুজায় মেতে উঠেছে। চালসাতে একাধিক স্ট্যান্ডে পুজোর প্যান্ডেল হয়েছে। বিকাল হতেই বাজারে ক্রেতাদের ঢল নামে মাল স্টেশন রোড, বাজার রোড সর্বত্র ভীড় দেখা গেছে।
দিনমান পরিস্কার আবহাওয়া থাকলেও সুর্য্য ডুবতেই আকাশের মুখ ভার হয়ে ওঠে। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ বৃষ্টি শুরু হতেই পন্ড হয়ে বাজার। ফুটপাতের দোকানিরা মালপত্র গুটাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। মুর্তি নিয়ে মন্ডবমুখি পুজার কর্তারা বিপাকে পড়েন। ফল ও সবজির দোকানীরা পন্য সামলাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন। অনেকের আশা ছিল সন্ধ্যায় বেচাকেনা ভালো হবে। কিন্তু, তাতে ভাটা পড়ে।
