



#হাবিবুর রহমান, ঢাকা: কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সফলভাবে পালন শেষে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেওয়ার মূহুর্তে স্মৃতি হাতড়ে বেড়ালেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। শনিবার ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় জাতীয় স্মৃতিসৌধতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বাংলাদেশের মানুষের উচ্ছসিত প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে জানিয়ে দোরাইস্বামী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে আমার শেষ দিন। আমরা বাংলাদেশের মানুষকে সুখী দেখতে চাই। তাদের উন্নয়ন চাই এবং একটি সফল গণতন্ত্র দেখতে চাই। আপনার গণতন্ত্রই আপনার সুষম উন্নয়ন। আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। সেটাকেই চালিয়ে যেতে হবে। আমি সেটাই চাই।’
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় বিদেশ মন্ত্রকে বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন দোরাইস্বামী। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়। পাশাপাশি আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তাঁরা।
বিদেশমন্ত্রী মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাত্রা যোগ করেছে, যা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বন্ধুত্বের সাক্ষ্য বহন করে।গত বছর ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় যথাযথ ভূমিকা রাখার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনারকে কৃতিত্ব দেন এ কে আব্দুল মোমেন। এ ছাড়া ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস যৌথভাবে উদযাপনে বিক্রম দোরাইস্বামীর সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সময় সহায়তা ও সহযোগিতার জন্য বিদেশ মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানান বিক্রম দোরাইস্বামী। মোমেন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক উদ্যোগের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক ও যথেষ্ট সহযোগিতা ভাগ করে নেয়। দুই দেশ যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারে, তবে সেটি দুই দেশের জনগণের জন্য উপকার হবে। সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতেও অবদান রাখবে।
