



#চন্দ্র নারায়ণ সাহা, রায়গঞ্জ: ছোট্ট বয়সে খুদে শিল্পী হিসেবে পুজোর গানের এ্যালবাম প্রকাশ করে মন জয় করে নিয়েছিলেন শিল্পী অম্তরা চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে অন্তরা চৌধুরী রক্ষা করেন সেই সুনাম৷ এদিন মাত্র ৭ বছর বয়সী খুদে শিল্পী গৈরিকা আচার্য্যর গান প্রকাশিত হতে চলেছে রায়গঞ্জ সুভাষগঞ্জের একটি স্টুডিওতে।
এত কম বয়সে পুজোর গান, এর আগে কোনো রায়গঞ্জ বাসীর হয়নি বলেই দাবি তার পরিবারের। এদিন গৈরিকার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, সে গলা সাধছে। তারই ফাঁকে সে বলে, পড়াশোনার বাইরে গান করি, ছবি আঁকি। মিষ্টি স্বভাবের গৈরিকা ওরফে মিঠি জানায়, বাড়িতে মা, বাবা, পিসি ও ঠাকুমা, সকলেই তাকে সহয়তা করেন। আগামী দিনে ডাক্তার হতে চাই জানিয়ে গৈরিকা বলে, ডাক্তার হওয়ার পাশাপাশি গানটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
গৈরিকা রায়গঞ্জ সারদা শিশুতীর্থের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ছোট থেকে একাধিক গানের প্রতিযোগিতায় সফল সে। সম্প্রতি, কলকাতায় অডিশন দিয়ে তারা টিভিতে গানের সুযোগ পেয়েছে। রায়গঞ্জের সঙ্গীতসদনের শিক্ষিকা রুমালি কর্মকারের কাছে গান শেখে। বাড়িতে বাবা গৌর আচার্য ও পিসি রুবি আচার্য গান দেখিয়ে দেন।
রায়গঞ্জের বন্দরের বাসিন্দা কীবোর্ড শিল্পী বৃন্দাবন মণ্ডলের কাছেও গানের তালিম নিচ্ছে গৈরিকা। এমনটাই জানালেন তাঁর বাবা গৌর আচার্য্য। তিনি বলেন, আমরা চাই পড়াশোনার বাইরে ও জীবনে যা শিখতে চাইবে, সেটা সকলের সামনে তুলে ধরা। এ’বছর দুর্গাপুজোর নতুন গানটি লিখেছেন বরুণ চক্রবর্তী(রায়গঞ্জ) এবং সুর দিয়েছেন নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় (সমাজকল্যন আধিকারিক, উত্তর দিনাজপুর)। আপনাদের যদি ভাল লাগে, তাহলে আমরা আনন্দিত হব।
গৈরিকার মত খুদে শিল্পীরা যে এই শহরের ভবিষ্যৎ, সেটা এককথায় স্বীকার করে নিয়েছেন শহরের প্রতিষ্ঠিত সংগীত শিল্পীরা। পাশাপাশি, তাঁরা সকলেই মুগ্ধ গৈরিকার কন্ঠে এমন গান শুনে। পুজোর মন্ডপে এই গান বহু শ্রোতার কোমর দোলাতে বাধ্য হবে বলেই বিশ্বাস সঙ্গীতজ্ঞদের।
