



#রায়গঞ্জঃ রায়গঞ্জ শহরের অন্যতম প্রাচীন পুজো হল আনন্দ সংঘ পাঠাগার ও দেবীনগর বাজার কমিটির পুজো। গুটি গুটি পায়ে পা ফেলে এবছর ৭০ তম বর্ষে মাতৃ আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন এই পুজো কমিটির সদস্যরা। একটা সময় সমগ্র দেবীনগরে এই একটি মাত্র পুজো হত বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। ফলে সাবেকি ও বনেদিয়ানা জড়িয়ে আছে পুজোর সাথে।
স্থানীয় প্রতিমা শিল্পীরা মন কাড়লেও এবছর সুদূর কৃষ্ণনগর থেকে আসা মৃৎশিল্পীরা ৩জন মিলে বিগত ২ মাস ধরে এক নতুনত্ব আনতে তৈরি করছেন প্রতিমা। স্থায়ী পাকা দালানের মন্দিরে তৈরি হচ্ছে মাতৃ মূর্তি। কাজের ফাঁকে মৃৎশিল্পী বলেন, ‘এই প্রতিমা এবার প্রথম করছি। এই মাতৃ রূপে সাবেকি ঐতিহ্য ও বনেদিআনা জড়িয়ে আছে। পুজো কমিটির সদস্যদের চাহিদা মতই মূর্তি তৈরি হচ্ছে। বিগত ২ মাসের বেশি সময় ধরে এই প্রতিমা প্রস্তুতির কাজ চলছে।’
প্রতিবছর বিশালাকৃতির পুজো প্যান্ডেল করলেও এবার সম্পূর্ণভাবে ফুলের মন্ডপ সজ্জার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজো কমিটি। এমনটাই জানালেন পুজো কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর প্রামাণিক। তিনি বলেন, এবছর আমরা বড় মন্ডপের বদলে স্থায়ী মন্দিরে ফুলের সাজ ব্যবহার করা হবে। মূল্যবৃদ্ধি জনিত কারণে, এবার খরচে কিছুটা লাগাম টেনে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, পঞ্চমীতে আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে মন্ডপ উদ্বোধন করা হবে। নবমীতে এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ভোগের বন্দোবস্ত করা হবে। এছাড়াও প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা চলছে।’ পুজোর আধুনিকতা যখন প্রতিটি মন্ডপ ও মাতৃ মূর্তিতে নতুনত্ব আনছে, তখন সাবেকি আনা বজায় রেখে প্রতিবছরই দর্শনার্থীদের মন কাড়ে এই পুজো কমিটি। এবারও অন্যথা হবে না বলেই বিশ্বাস দেবীনগর বাসীর।
