



#মালবাজার: পিতৃপক্ষ শেষ হতে আর মাত্র দুই দিন বাকি। তারপরই শুরু হবে দেবীপক্ষ,মা’য়ের আরাধনায় মেতে উঠবে আসমুদ্রহিমাচল। পাহাড় থেকে সমতল প্যান্ডেলে মন্দিরে বেজে উঠবে ঢাক। ঘন্টা ও শঙ্খ ধ্বনির সাথে মন্ত্র উচ্চারণে মধ্যে চলবে পুজা। তাই এখন সবাই ব্যাস্ত পুজার আয়োজন করতে। এই রকম ভাবে সমুদ্রপিষ্ট থেকে প্রায় ৬২০০ ফুট উচু ঝান্ডি সুন্তালে প্রথম দুর্গাপূজার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তারই আজ খুটিপুজা দিয়ে মন্ডব নির্মাণ শুরু হলো। কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের পাহাড়ের উপরে দুই পাহাড়ি গ্রাম ঝান্ডি ও সুন্তালে। এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে গোটা ৪০ পরিবারের বাস।জীবিকা বলতে কৃষি কাজ ও পশুপালন। পাহাড়ের এতো উচুতে হিমালয় কন্যার আগমন উপলক্ষে এতৎকাল কোন পুজার আয়োজন হয়নি। হবেই বা কি করে? মুষ্টিমেয় আয়োজন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
পুজোর কয়দিন তারা নিচে নেমে গরুবাথান এলাকায় পুজার আনন্দ উপভোগ করতেন। গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় গড়ে উঠেছে কয়েকটি হোমস্টে। পর্যটন ব্যবসার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান। ঝান্ডি ও সুন্তালের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শান্ত পরিবেশের জন্য পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। দক্ষিণ বঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ী শুভম পোদ্দার কয়েক বছর আগে এখানে গড়ে তুলেছেন এক হোমস্টে।
তারই উদ্যোগে এবার এই সুন্দর মেঘে ঢাকা পাহাড়ি গ্রামে দুর্গাপূজার আয়োজন হতে চলছে। শুক্রবার মেঘলা আকাশের নিচে হয়ে গেল খুটি পুজা। শুভমবাবু জানান, এখানে পুজোর সময় অনেক পর্যটক আসেন। পুজোর তিনটি দিন তার খানিক হতাশ হতেন। এছাড়াও স্থানীয়দেরও এক আক্ষেপ ছিল। তাই এবছর স্থানীয় মানুষদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে ” ঝান্ডি – সুন্তালে ইউনাইটেড ক্লাব ” সবাই মিলে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
