



#মালবাজার: আর মাত্র সপ্তাহ খানেক বাকি। তারপরেই মন্ডবে মন্ডবে বাজবে শঙ্খ ঘন্টা। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে চলবে পুজা। পুজা দেখতে নতুন পোশাকে কচিকাঁচা থেকে বয়স্করা প্যান্ডেলে থেকে অন্য প্যান্ডেলে ঘুরে বেরাবে। পুজার আয়োজনে সবাই ব্যাস্ত। ইতিমধ্যেই ডুয়ার্সের চাবাগান গুলিতে বোনাস হয়ে গেছে। সবার হাতে এসেছে বাড়তি টাকা। সেই টাকা দিয়ে বাড়ির কচিকাঁচা দের জন্য কিনছে নতুন জামা জুতা।
সবাই আনন্দে মুখর। এই আনন্দের দিনে কাজ করেও টাকা না পেয়ে হতাশার অন্ধকারে ডুবে রয়েছে মেটেলি ব্লকের কয়েকশ ১০০ দিনের কাজের অস্থায়ী শ্রমিক। তিন তিন বার কাজ করেও মজুরি পাননি এক প্রবীনা জানালেন, “কোমর ভেঙে বাড়িতে পড়ে আছি, চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার। কিন্তু, ১০০ দিনের কাজ করেও মজুরি পাচ্ছি না। দিদি টাকা দিতে চাইলেও মোদি নাকি আটকে দিয়েছে। দিদি আর মোদির চাপানউতরে আমরা চিকিৎসা করাতে পারছি না। জানিনা এই সমস্যা কবে মিটবে”।
মহঃ মুস্তফা নামের এক দর্জি জানালেন, জামা কাপড় সেলাই করে কোনক্রমে সংসার চালাই।বাড়তি কিছু রোজগারের জন্য ১০০ দিনের কাজে শ্রমিকের কাজ করেছি। আজও মজুরি পাইনি। আমাদের ঈদ ও বকরি ঈদ আছে। বাচ্চাদের জামাকাপড় দিতে হয় । হাতে টাকা নেই। ভেবেছিলাম ১০০ দিনের টাকা পেলে পরিবারের মুখে হাঁসি দেখব। কিন্তু, সে হয়ে উঠল না। দিদি টাকা দিতে চাচ্ছে কিন্তু শুনছি মোদি সরকার আটকে দিয়েছে।
আমরা অত কিছু জানিনা। মজুরির টাকা পেলে উপকার হবে। এই কয়েকশ শ্রমিক একাধিক বার কাজ করেও মজুরি পায়নি। সবাই টাকার জন্য পঞ্চায়েত দপ্তরে হা-পিত্তেস করে ঘুরে ঘুরে এখন বাড়ির দাওয়ায় বসে কপাল ঠুকছেন। সবার এক চাহিদা কবে টাকা পাব। মাল, মেটেলি সহ বিভিন্ন ব্লকের গ্রামে ঘুরলে এই দৃশ্য চোখে পড়বে। দিদি আর মোদির জাতাকলে পড়ে এভাবে আর কত দিন এরা হা- হুতাশ করবেন? এই প্রশ্ন আজ উঠে এসেছে।
