



#রায়গঞ্জঃ অবশেষে দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে পুজোর মুখে জেলায় এল জব্বর খুশির খবর।সমগ্র জেলা চাহিদা পূরণ হল। যদিও এই চাহিদা তিনিই পূরন করলেন বলে জানালেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। মঙ্গলবার এই খবর আসতেই সোশাল মিডিয়ায় ওঠে ধন্যবাদ ও অভিনন্দনের ঝড়।
জানা গেছে, রাধিকাপুর কলকাতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সম্ভবত আগামী ১লা অক্টোবর থেকে রাত ৯টায় রাধিকাপুর থেকে ছেড়ে রায়গঞ্জ, মালদহ, আজিমগঞ্জ হয়ে কোলকাতা পৌঁছাবে। এছাড়াও রাধিকাপুর থেকে হাওড়া মুখী কুলিক এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভোর ৫টা ৪৫মিনিটে রাধিকাপুর থেকে ছেড়ে দুপুর ২টা নাগাদ হাওড়া ঢুকবে। এমন খবরে জেলা জুড়ে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে। বণিক সংগঠন থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, শিল্পী, উকিল, শিক্ষক সহ বিভিন্ন অংশের সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। যদিও রেল সূত্রে এখনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।
সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, পরিকাঠামোগত কারণে ট্রেনের সময়সূচি নিয়ে সমস্যা ছিল।আমি রেল দপ্তরের কাছে বারংবার তদ্বির করি এবং প্রস্তাব আকারে পাঠাই।আমার প্রস্তাব রেল দপ্তর মান্যতা দিয়েছে।সেই মতো আগামী ১ অক্টোবর থেকে ট্রেনটি ভোরে ছেড়ে দুপুরে হাওড়ায় পৌঁছাবে।পরদিন নির্দিষ্ট সময়ে হাওড়া থেকে ছাড়বে।যদিও পুরোটা আন অফিসিয়ালি জানালাম।রায়গঞ্জ রেল স্টেশন ম্যানেজার রাজু কুমার জানান,প্রতি বছর ১ অক্টোবর থেকে ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন হয়।সেই মতো পরিবর্তন হওয়ার কথা। তবে অফিসিয়ালি আমরা কিছু পাইনি। এদিকে, বাসিন্দাদের দাবি মেনে রাধিকাপুর- হাওড়াগামী কুলিক এক্সপ্রেস ট্রেনের সময় পরিবর্তন হলেও দিল্লিগামী আনন্দবিহার চালুর ব্যাপারে নিশ্চুপ রেল দপ্তর।
এদিন, রাধিকাপুর- আনন্দবিহার ট্রেনটি পুনরায় চালুর পাশাপাশি বুনিয়াদপুর- কালিয়াগঞ্জ এবং রায়গঞ্জ – ডালখোলা রেল প্রকল্পের কাজ শুরুর দাবি জানিয়ে পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্স এন এফ রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারকে আজ চিঠি দিয়েছে।সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুন্ডু বলেন,২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে আনন্দবিহার এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ।ফলে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা।এই ট্রেনের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।তাই আমরা জেলার সাংসদ এবং রেল দপ্তরকে ট্রেনটি চালুর দাবি জানিয়েছি।
