



#চন্দ্র নারায়ণ সাহা, রায়গঞ্জঃ পুজোর মরশুমে শখ পূরণে কেউ যাচ্ছে পাহাড়ে ট্রেকিং বা অভিযানে, আবার কেউ চলেছে আত্মীয় ছেড়ে দূরের দেশ ভ্রমনে। এমনই অবস্থায় কেউ পথের নেশায় বুঁদ হয়ে নেমে পড়েছে বাইক নিয়ে জাতীয় সড়কে। পঞ্চমীর সন্ধ্যায় রায়গঞ্জের একটি বাইকার ক্লাবের ৯ জন সদস্য পথে নামল বাইক নিয়ে, তাদের লক্ষ্য দেশের পূর্ববর্তী রাজ্য অরুনাচল প্রদেশের তাওয়াং হয়ে বুম লা।
এদিন এই বাইকারদের পক্ষে অভিযাত্রী দলের সদস্য জিল্টু লস্কর বলেন, আমরা পঞ্চমীতে রওনা হয়ে ৮ দিনে প্রায় ১৩০০ কিমির বেশি পথ বাইক চালিয়ে পৌঁছে যাব উত্তর পূর্ব ভারতের বুম লা পাসে। অরুনাচল প্রদেশের এই পাসটি বাইকারদের একটি অন্যতম পীঠস্থান। তিনি জানান, তাদের ৯ জনের দলে ১ জন কালিয়াগঞ্জ, ১জন মালদার গাজোলের বাসিন্দা এবং বাকিরা সকলেই রায়গঞ্জের বাসিন্দা।
পুজোর আনন্দ ছেড়ে পথে থাকার কারন জিজ্ঞেস করায় জিল্টুর দাবি, আসলে পেশাগত কারনে একটানা কয়েকদিনের ছুটি একটা সমস্যা। তাই আমরা পুজোর সময় পথের আনন্দ নিতে পথে বাইক চালিয়ে আনন্দ উপভোগ করব। পাহাড়ের সবুজ ও ঠান্ডা ফুরফুরে বাতাস আমাদের এই আনন্দের খোরাক হয়।
এদিন রায়গঞ্জ শহরের স্টেট বাস টার্মিনাসের সামনে থেকে যখন এই দলটি যাত্রা শুরু করে, তখন আরেক বাইকার অমিত চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমরা আজ রায়গঞ্জ ছেড়ে বেরিয়ে আগামীকাল ৭৪২কিমি পথ পাড়ি পৌঁছে যাব আসামের তেজপুর, সেখানে রাত্রি কাটিয়ে পরদিন থাকব তিরাং, তৃতীয় ও চতুর্থ রাত তাওয়াং, পঞ্চম রাত স্যাংকি ভ্যালি, ষষ্ঠ রাত গৌহাটি, সপ্তম রাত লাটাগুড়ি। অষ্টম দিনে আমরা রায়গঞ্জে ফিরে আসব।
নীলাঞ্জন, সুজয়, অমিত, জিল্টু, দিবাকর, মৃন্ময়, সুমন, শুভঙ্করদের এই যাত্রায় শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ উৎসব গুহ। তিনি বলেন, আমাদের সমাজের যুব সমাজের মধ্যে এ্যাডভেঞ্চারের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা সামাজিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওদের জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
