



#কলকাতা: বৃহস্পতিবার বাজে কদমতলা ঘাট পরিদর্শনে এসে কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, কলকাতা পৌরনিগম এবং কলকাতা পুলিশ সমন্বয় সাধন করে কাজ করছে। লালবাজার সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের মালবাজারে হড়পা বানের ঘটনায় গতকালের থেকে আজ বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে৷ বাজে কদমতলা ঘাটে আজ থেকে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় থাকবেন একজন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক। তাঁর নেতৃত্বে থাকবেন চারজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং একাধিক থানার ওসি।
পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য বলা হয়েছে। কলকাতার রিভার ট্রাফিক পুলিশের 8টি স্পিড বোট ইতিমধ্যেই গঙ্গাবক্ষে টহল দিচ্ছে৷ সঙ্গে রয়েছেন ডুবুরিরাও। যাতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ড্রোনের সাহায্যে গোটা প্রতিমা নিরঞ্জনের পর্ব ওপর থেকে নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন।
পুলিশ ও প্রশাসন এবং সংবাদকর্মী ছাড়া ঘাটের একেবারে সামনের সারিতে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। একটি নির্দিষ্ট সীমানা অবধি পুজো উদ্যোক্তারা আসার পর প্রতিমার কাঠামো নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গঙ্গায় ভাষাণ দিচ্ছেন পৌরনিগমের কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে জলে পড়া সেই কাঠামো ক্রেনের দ্বারা তুলে, তা অন্যত্র সরিয়ে রাখা হচ্ছে।
আজ সকালে গঙ্গায় বিসর্জনের কাঠামোর নিচ থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছাড়া বাজে কদমতলা ঘাটে। ইতিমধ্যেই নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ স্টেশনে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম, ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি। প্রতিমা নিরঞ্জন করতে এসে তিনি তলিয়ে গিয়েছেন, নাকি গঙ্গায় জোয়ারের জলে ভেসে দেহ বাজে কদমতলা ঘাটে এসেছে, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।
জলপাইগুড়ির মাল নদীতে বিসর্জনের সময় আচমকা হড়পা বানে আটজনের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার৷ বিসর্জনের মরশুমে সবক’টি জেলার প্রশাসনকে সতর্ক করল রাজ্য সরকার, দেওয়া হল নয়া নির্দেশ৷
বৃহস্পতিবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী৷ সূত্রের খবর, এই বৈঠকে তিনি সমস্ত জেলাশাসককে নিরঞ্জনের সময় সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন৷ জলপাইগুড়ির ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব৷ বিসর্জনের ঘাটগুলি ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা আঁটোসাটো করতে বলেছেন তিনি৷
