



#মালবাজার: শনিবার কোজাগরীর আগের দিন বিকালে আবার কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের পাহাড়ি এলাকায় শুরু হয় প্রবল বর্ষন শুরু হয়। যার জেরে মাল, চেল, নেওরা নদীতে জলচ্ছাস দেখা যায়। মালনদীতে হরপা বানের অবস্থা তৈরি হয়। মালনদীর পার বরাবর শহরের ২, ১১,১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে। নদীর বাধের উপর বাস করে অনেকে পরিবার। তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
তবে নদীর পারে জনমানবহীন ও নদীতে বালিপাথর তোলার ট্রাক না থাকায় বিপদ সেরকম হয়নি। শনিবার সকাল থেকে ডুয়ার্স ও তার সংলগ্ন পাহাড়ের আকাশ পরিস্কার ছিল। রোদের তাপ ছিল যথেষ্ট। মালবাজার শহরের স্টেশন রোড এলাকায় জমে ওঠে কোজাগরী লক্ষী পুজোর বাজার। ভাসান বিপর্যয়ের পর এদিন খানিকটা ছন্দে ফেরে শহর।
দুফুর গড়াতেই আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। বিকাল ৪ নাগাদ গরুবাথান ব্লকের পাহাড়ি এলাকায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। ঝোড়া ও নালা উপছে জলের স্রোত বইতে থাকে। সেই জল নেমে আসে মাল, চেল ও নেওরা নদী দিয়ে। প্রতিটি নদীতে জলচ্ছাস দেখা দেয়। মালনদীতে হরপা বান শুরু হয়। দুই কুল বরাবর ঘোলা জল বইতে শুরু করে। এদিন নদীর আশেপাশে জন শুন্য থাকায় বিপদ ঘটেনি। সন্ধ্যা নামতেই মালবাজার শহর সহ আশেপাশ এলাকায় শুরু হয় বর্ষণ।
মালনদীর পার বরাবর রয়েছে শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মহাকালপাড়া ও কুমার পাড়া, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মিলন পল্লী, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশ। নদীর বাধের উপর বাস করে বহু পরিবার। তাদের অনেকেই জানায়, “এবছর এই রকম ভাবে পার বরাবর জলের স্রোত বয়েছে কয়েক বার। বৃষ্টি হলেই চিন্তা হয়। ভাসানের দিন ও এরকম জলচ্ছাস হয়েছিল। আজ জল না কমা পর্যন্ত লক্ষ্য রাখতে হবে”।
