



#মালবাজার: গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় সিভিল ডিফেন্সের কর্মিদের যদি দশমির রাতে মালনদীর ঘাটে পর্যাপ্ত পরিমানে রাখা হত এবং তাদের কাছে যদি উপযুক্ত উপকরণ থাকতো তাহলে এত গুলো মানুষের প্রাণ যেত না “।সোমবার মালনদীর ঘাটে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথাই বললেন ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার এসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক প্রসেঞ্জিত বসাক ও সংগঠনের রাজ্য সহ সভাপতি মহহ্মদ সফি আজিজ।
তাদের বক্তব্য মাল মহকুমায় প্রায় আশি জন সিভিল ডিফেন্স এর কর্মী রয়েছে। কিন্তু সেদিন মাত্র আটজনকে মালনদীর ঘাটে কাজে লাগানো হয়েছিল। তবুও সেভাবে উদ্ধারের কোন ব্যবস্থা ছিল না।ছিল না উপযুক্ত পরিমাণে উপকরণ। তাই তাদের দাবি রাজ্য সরকার এর কাছে এবং তাদের আবেদন সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীদের বসিয়ে না রেখে তাদের কাজে লাগানো হোক। এর জন্য প্রশাসন কে দায়ী করেছেন তারা। পর্যাপ্ত কর্মি থাকলে একটাও প্রানহানী হতো না বলে তাদের দাবী।
সম্পাদক সঞ্জীব বসাক বলেন, “ঘাটে সেদিন হাজার হাজার মানুষের ভীড় হয়েছিল। জলচ্ছাসের একটা পূর্বাভাস ছিল। তবু মাত্র ৮ জনকে রাখা হয়েছিল। একটা মাত্র রশি ছাড়া আর কিছু ছিল না। লাইফ জ্যাকেট, নেট সহ অন্যান্য উপকরণ ছিল না। একজন সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার একজন মানুষ। যদি যথেষ্ট উপকরণ তার কাছে না থাকে তার পক্ষে কিছুই করার থাকেনা। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিভিল ডিফেন্স কর্মী ও যথেষ্ট উপকরন থাকলে প্রান হানী এড়ানো যেত।
সংগঠনের রাজ্য সহ সভাপতি মহহ্মদ সফি আজিজ বলেন, এরকম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রবল স্রোতের মুখে কাজ করতে হলে কর্মীদের কাছে পর্যপ্ত রশি, নেট, লাইফ জ্যাকেট, স্পীড বোট রাখার দরকার। এছাড়াও যথেষ্ট সংখ্যক ভলেন্টিয়ার রাখতে হয়। সেদিন সেসব ছিল না।একটা মাত্র রশি ছিল সেটা কাজের নয়। যদি সব ব্যবস্থা থাকতো তবে প্রান হানী এড়ানো যেত।
