



#মালবাজার: প্রবল বর্ষনে বিরাট পাহাড়ি ধসে অবরুদ্ধ হয়ে রইলো বাগ্রাকোট থেকে সিকিম গামী নির্মীয়মান নতুন ৭১৭ এ জাতীয় সড়ক।ধসের কারনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকলো সুন্দর পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্র ইয়েলবঙ সহ চুইখিম, বরবট,নিমবঙের মতো পাহাড়িয়া গ্রামগুলোও।গত দু-তিন ধরেই কালিম্পং পাহাড়ি এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে একটানা প্রবল বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে।
প্রবল বর্ষনের কারণে মাঝেমধ্যে ধস পড়ে। বাগ্রাকোট থেকে সিকিমগামী নির্মীয়মান নতুন জাতীয় সড়ক ধরে ৯ কিমি এগোলেই ডান দিকে পাহাড়ি ঢাল বরাবর নেমে গিয়েছে অপরূপ পর্যটকদের গন্তব্য ইয়েলবঙ। কয়েক বছর ধরেই ট্যূরিষ্টদের আগমনে ক্রমশঃ পরিচিতি পেতে শুরু করেছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪. ৫ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ইয়েলবঙ।সবুজ পাহাড় ঘেরা নির্জন প্রকৃতির পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বুকে একমাত্র ক্যানিয়নের জন্যও বিখ্যাত এই গ্রামটি।
পাহাড় ভাঙা ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই গ্রামের হোম স্টে মালিক নিমা তামাঙ, গোপাল ছেত্রী প্রমুখ বলেন,দুর্গম এই পাহাড়ি পথে একমাত্র যোগাযোগের সড়কটি ধসে বন্ধ হয়ে থাকার ফলে পর্যটকদের একটি দলকে বাধ্য হয়েই গতকাল ইয়েলবঙে আটকে থাকতে হয়েছে।পরে জাতীয় সড়ক নির্মানকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কয়েকঘন্টার চেষ্টায় সড়ক খুলে দেওয়া হলে তারা গন্তব্যে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ওই এলাকায় পাহাড় কেটে ৭১৭ এ জাতীয় সড়ক নির্মানকারী সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার রাজীব কুমার বলেন, গত কয়েকদিন ধরে যে হারে পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়ে চলেছে তাতে একদিকে যেমন একাধিক জায়গায় বিশালাকার ধস নেমে আসছে, তেমনি ধসে যাচ্ছে নতুন করে তৈরি করা সড়কের অংশও।চুইখিমের একটু আগে লুপ-পুলের কাছে গতকাল পাহাড়ে ভেঙে যে পরিমান ধস নেমে এসেছিলো, অত্যাধূনিক ভারী মেশিনের সাহায্যে ধসের কাদা, পাথর সরিয়ে যাতায়াত স্বাভাবিক করা হচ্ছে। বৃষ্টিতে কাজ করতে প্রচুর সমস্যা হচ্ছে।
