News Britant

মুখ্যমন্ত্রী আসছেন, প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু মালবাজার ও তেশিমলায়

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#মালবাজারঃ মুখ্যমন্ত্রী আসছেন, সেই বার্তায় প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু মালবাজার ও তেশিমলায়। সর্বত্র সাজ সাজ রব দেখা দিয়েছে। ঝেড়ে পুছে মেরামতি শুরু হয়েছে পূর্ব তেশিমলার এক বেসরকারি রিসোর্ট। রাস্তা, বিদ্যুৎয়ের খুটি সহ অন্যান্য ব্যবস্থার সংস্কার শুরু হয়েছে। এরকম অবস্থায় তেশিমলার অনেকে ২০০৬ সালের স্মৃতির রোমন্থন করছেন। 

প্রশাসনের কর্তারা কেউ মুখে পরিস্কার ভাবে না বললেও তবে বিভিন্ন দপ্তর সুত্রে জানাগেছে মুখ্যমন্ত্রী আগামী ১৭ অক্টোবর মালবাজার শহরে আসবেন। সেই সুত্রে মালবাজার ও তেশিমলা এলাকায় সরকারি আধিকারিকরা স্থান নির্বাচন করে গেছেন। জানাগেছে, ওইদিন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে আসতে পারেন। সেই জন্য বড়দীঘি  উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে হেলিপ্যাড তৈরি হবে। তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বেসরকারি রিসোর্টে থাকতে পারেন।

সেজন্য শুক্রবার দেখা গেল ওই রিসোর্ট ঝেড়েপুছে পরিস্কার শুরু হয়েছে। পুর্ত ও পর্যটন দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা কাজ করছেন। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা বিদ্যুতের খুটি ও অন্যান্য ব্যবস্থা সংস্কার করছেন। রিসোর্টে যাওয়ার রাস্তার আশপাশের জঙ্গল সাফাই ও রাস্তার মেরামতি চলছে অত্যন্ত তৎপরতায়। মাল আদর্শ বিদ্যা ভবনের হল ঘরে প্রশাসনিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেজন্য পরিস্কার করে অন্যান্য ব্যবস্থা করার কাজ শুরু হয়েছে। 

গত ৫ অক্টোবর মালনদীর বিসর্যন ঘাটে হটাৎ হরপা বান আসে। সেই বিপর্যয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়। সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর।মুখ্যমন্ত্রী সমবেদনা জানিয়ে মৃতের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা জানান। ইতিমধ্যে তারা সেই টাকা তারা পেয়েও গেছেন। সেই বিপর্যয়ের পর গোটা শহর শোকগ্রস্ত। এই রকম পরিবেশে মুখ্যমন্ত্রী হয়তো মৃতের পরিবারের দেখা করে সমবেদনা জানাতে পারেন, এমনই আভাস পাওয়া গেছে।

বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী গত ২০০৬ সালে তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মাল নদীর ধারে এক বেসরকারি রিসোর্টে ছিলেন। সেদিনের স্মৃতি ১৬ বছর পরেও অনেকে মনে আছে।গ্রামের মানুষ জাহাঙ্গীর আলম জানান, তখন তিনি কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী। একদিনের জন্য এই রিসোর্টে ছিলেন। কাছ থেকে দেখে ছিলাম। সবাইকে হাত জোর করে অভিবাদন জানিয়ে ছিলেন। গ্রামের যুবক সুবিন রায় জানান তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। কাছ থেকে দেখে ছিলাম। আবার দেখতে পাব।

রিসোর্টের পাশেই থাকেন প্রবীণ কৃষক পুনাই ওঁরাও। তিনি জানান, অত বড় নেত্রী কিন্তু খুব আন্তরিক ভাবে সবার সাথে কথা বলেছেন। আমি সকালে হাত মিলিয়ে ছিলাম। আবার এখানে আসবে। আবার সামনে থেকে দেখতে পাব।একদিকে প্রশাসনিক তৎপরতা পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদের রোমন্থনে সরগরম তেশিমলা। 

Leave a Comment