



#মালবাজার: গত ৫ অক্টোবর মালনদীর বিসর্যন ঘাটে জীবন বিপন্ন করে হরপা বানে ভেসে যাওয়া মানুষদের উদ্ধার করেছিলেন। বীরের মতো এই কাজের জন্য এর মধ্যেই বিভিন্ন জায়গা থেকে সংবর্ধনা পেয়েছেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ডাক পান নি।এতেই মঙ্গলবার মাল আদর্শ বিদ্যা ভবনের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মেটেলি ব্লকের শালবাড়ি গ্রামের দুই উদ্ধারকারী তরিফুল ইসলাম ও ফরিদুল ইসলাম।
সম্পর্কে মামা ও ভাগ্নে। তরিফুল ইসলাম ও ফরিদুল ইসলামের বাড়ি মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালবাড়ি গ্রামে। মাল ও নেওরানদীর মাঝের দোয়াব এলাকায় শালবাড়ি গ্রাম। অন্যান্যদের মতো এই দুই যুবক গত ৫ অক্টোবর মালনদীর ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে এসেছিল। রাত ৮. ৪০ মিনিট নাগাদ আচমকাই ধেয়ে আসে প্রচন্ড হরপা বান। সেই জলের স্রোতে ভেসে যায় বহু মানুষ।
শুরু হয় সমবেত আর্তনাদ। সেই আর্তচিৎকার শুনে নিজদের জীবন বিপন্ন করে নদীর জলে ঝাপ দিয়ে উদ্ধার করেছিলেন বেশ কিছু মানুষের জীবন এই দুই যুবক। অন্যান্য আরও কয়েকজন যুবক এই কাজে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। বীরের মতো এই কাজে জন্য এই দুই যুবককে বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েত ও বেশ কয়েকটি সংস্থা সংবর্ধনা দিয়েছে। মঙ্গলবার মাল আদর্শ বিদ্যা ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে ডাক পেয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
অন্যান্য উদ্ধারকারীরা ডাক পেলেও ডাক পায়নি তরিফুল ও ফরিদুল। এতেই মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর সভার স্থল আদর্শ বিদ্যা ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন এই দুই যুবক। তারা জানান, সেদিন আমরা জলে ঝাপ দিয়ে জীবন বাচিয়েছি। এরজন্য আমাদের শংসা পত্র দেওয়া হয়েছে। আজ অন্যান্যরা ডাক পেলেও আমরা ডাক পাইনি। আমরা এতে মারাত্মক ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে সরকারি ভাবে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
