



#মালবাজার: মাত্র ৫ বছর ১০ মাস বয়সে ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডে ঝরঝরে ২৮ টি রাজ্য ও ৮ টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের রাজধানীর নাম বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলছিল মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ির খড়পাড়ার সামীকসা রায়। কৃষ্ণ রায় ও জবা রায়ের বড়ো মেয়ে সামীকসার এই অভাবনীয় সাফল্যে খুশি তার সমগ্ৰ পরিবার। প্রীতি রায় নামে তাদের ১ বছরের আরো একটি কন্যা আছে।
ইতিমধ্যে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড থেকে তাকে মেডেল, কলম, ব্যাচ, আই কার্ড ও শংসাপত্র পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সামিকসাকে বাতাবাড়ি রেইন ফরেস্ট চকলেটি রিসোর্টের তরফে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। এদিন রিসোর্টে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।পাশাপাশি মাল নদীর হারপা বানের জলে ভেসে যাওয়া বহু মানুষকে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে ছিল মেটেলি ব্লকের তিন রিয়াল হিরো মনোজ মুন্ডা, তরিফুল ইসলাম ও ফরিদুল ইসলাম।
এদিন তাদের কেও সম্বর্ধনা জানানো হয়। এদিনের এই সম্বর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মেটেলি ব্লক সভাপতি জোসেফ মুন্ডা, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সীমা সরকার, মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেলী বেগম, সমাজসেবী সোনা সরকার, রেজাউল বাকি, বাবু হাসান সহ অনেকে। রিসোর্টের কর্ণধার দেবব্রত পাল বলেন, যারা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এতো মানুষের প্রাণ বাঁচলো। তাই এদিন আমরা তাদের মানবিক সন্মান প্রদান করি। সামিকসাও এতো কম বয়সে তার অভাবনীয় প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে।
তাদের উৎসাহ জগতেই এই সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হলো। জানা যায়, সামীকসা বাতাবাড়ি শিশু তীর্থ নার্সারি স্কুলের কে জির পড়ুয়া। সামীকসার বাবা কৃষ্ণ রায় ও মা জবা রায় বলেন, ছোট থেকে সামীকসা অত্যন্ত মেধাবী। অত্যন্ত প্রখর তার স্মৃতি। কিছু শুনলেই ও তা মনে রাখে। সহজে ভুলে না। আমরা কোনোদিনেই ভাবতেই পারি নি ও এতো কম বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে জায়গা করে নেবে। এরজন্য তার কাকু প্রশান্ত রায় যথেষ্ট সাহায্য করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ সারথি দে, দেবাশীষ ঠাকুর, সজল সাহা, রিজু ঘোষ, স্বপন বিশ্বাস সহ অনেকে।
