



#হেমতাবাদঃ একটি নাবালক ছেলেকে বিয়ের দাবিতে, ওই ছেলেটির বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসে এক নাবালিকা। এরপর সেই নাবালিকাকে আটক করে তুলে নিয়ে আসে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। ঘটনাচক্রে থানার বাথরুম থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ওই আটক নাবালিকাকে। দ্রুত ওই নাবালিকাকে হেমতাবাদ গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে পাঠানো হয় রায়গঞ্জ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এরকম পরিস্থিতিতে, হেমতাবাদে নাবালিকার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে রায়গঞ্জ-কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদ-বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল মৃতার পরিবারের লোক ও গ্রামবাসীরা।এদিন প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে রাস্তা অবরোধ করে রাখে গ্রামবাসীরা। এরপর পুলিশের আশ্বাসে রাস্তা ছেড়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা।
পরিবারের লোকের অভিযোগ, থানায় সিসি ক্যামেরা লাগানো সত্ত্বেও পুলিশ আধিকারিকেরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে পারছে না। জীবিত না মৃত অবস্থায় মেয়েকে আনা হয়েছিল, সেটা জানতে চাই। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, প্রেমিক ওই নাবালিক ফোন করে নাবালিকা প্রেমিকাকে ডাকে। মেয়েটি এলে ছেলেটির পরিবারের লোকেরা মারধর করে। সেখানেই মারা যায় আমাদের মেয়ে।
পরিবারের অভিযোগ এরপর থেকেই ঐ নাবালিকার কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না তাঁরা।পরিবারের লোকের আরও অভিযোগ, পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করছেই না, উল্টে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন হয়।
