



#মালবাজার: মূর্তি নদীকে সাক্ষী রেখে হৈমন্তিক রঙে রঙ্গিন হয়ে পুনর্মিলন উৎসব করলো একদল শিক্ষক শিক্ষন কেন্দ্রের প্রাক্তনী। ২৩ বছর পর ফের এক জায়গায় মিলিত হয়ে আবেগে ভাসেন তারা। ১৯৯৮-৯৯ সালের বেলাকোবার প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যাচ ছিলেন তারা। যদিও সকলই এখন শিক্ষকতা করে। কেউ প্রাথমিক কেউ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা।
সবার বয়স ৪৫ এর ঊর্ধ্বে। চাকরি ও সংসারের কাজে ব্যস্ত। কর্ম সূত্রে ও বিবাহ সূত্রে অনেকেই চলে গেছেন ভিন জায়গায়। দীর্ঘ ২৩ বছর পর ফের এদিন সকলের সাথে দেখা হলো। তবে বয়সের ভারে অনেকের চেহারার পরিবর্তন হয়েছে। আজ দিনভর তারা মূর্তির রিসোর্ট ত্রিমুর্তিতে কাটান। যান মুর্তি নদীর ধারেও। সেখানে বসেই হয় আড্ডা।
সুনন্দা দত্ত বলেন, সকলের সাথে যোগাযোগ করে প্রথমে একটি ওয়াটসএপ গ্রুপ তৈরি করা হয়। সেই গ্রুপেই হয় আলোচনা। আজ পর্যটনকেন্দ্র মূর্তিতে পুনর্মিলন উৎসব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী এদিন ২৫ জন এসে হাজির হয় মূর্তি নদীর পাশে পুনর্মিলন উৎসবে। আগামীতেও এই উৎসব করা হবে।
নীলাঞ্জন মিস্ত্রি, নবেন্দু ঘোষ রা বলেন, ২৩ বছর পর আবার সকলের দেখা করতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে। এটা আমাদের কাছে অন্য দিন। একসময় সহপাঠীদের সাথে স্মৃতি চারণ করলাম। বর্তমান সাংসারিক জীবন নিয়েও কথা হয়। পারিবারিক কাজ ও কর্মব্যস্ততা ভুলে এদিন শুধু আড্ডা আর গল্প হলো। মানস চক্রবর্তী, শুভজিৎ দত্ত রা বলেন, এদিনের পুনর্মিলন উৎসবে পুরোনো দিনের ১ বছরের সেই প্রশিক্ষনে থাকার সময়ের অনেক কথাই মনে পরে গেল।
সেই সময়ের দুস্টুমি, ঘোরাফেরা আজ অতীত হলেও তার স্মৃতি চরনা করে দারুন লাগছে।কর্ম সূত্রে অনেকেই এখন ভিন জায়গায় আছেন।সকল ব্যস্ততাকে ভুলে এদিনের পুনর্মিলন উৎসবে ছুটে এসেছেন সকলই। স্বভাবিক ভাবেই এ দিনের এই পুনর্মিলন উৎসব স্মৃতির পাতায় গাঁথা থাকবে সকলের।
