



#রায়গঞ্জঃ শনিবার সকালে নিজের জন্মদিনে মরণোত্তর দেহ ও অঙ্গদানের অঙ্গীকার পত্রে সাক্ষর করলেন দক্ষিণ সোহারই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শুভাশিষ দাস(৩০)। এদিন নিজের দেবীনগরের বাড়িতে বসে গনদর্পনের স্বেচ্ছাসেবকদের সামনে এই মরণোত্তর দেহ ও অঙ্গদানের অঙ্গীকার পত্রে সাক্ষর করেন তিনি।
এই স্বাক্ষর করার সময়ে শুভাশিষ বাবুর পাশে উপস্থিত ছিলেন তাঁর দাদা তথা হেমতাবাদ আদর্শ স্কুলের শিক্ষক দেবাশীষ দাস, বৌদি চন্দ্রিমা দাস। এদিন এই শুভ দিনে নিজের মরণোত্তর দেহ ও অঙ্গদানের অঙ্গীকার করে শুভাশিষ বাবু বলেন, এটা আমার জীবনের একটা অন্যতম ইচ্ছে ছিল। আজ এটা পূরণ হল। মৃত্যুর পরে সাধারণ মানুষের নশ্বর দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
কিন্তু সেই নশ্বর দেহের সতেজ ও ভালো অঙ্গগুলো যদি কোনো অসহায় মানুষের কাজে লাগে, তাহলে তার জীবন বদলে যেতে পারে। সেই লক্ষ্য নিয়েই এই অঙ্গদান করলাম। এতে আমার দাদা, বৌদিকে পাশে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
শুভাশিষ বাবুর দাদা দেবাশীষ বাবুও ভাইয়ের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ছোটো থেকেই আমার ভাই সমাজের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বদ্ধপরিকর। ও আজ এমন একটা অঙ্গীকার পত্রে সাক্ষর করতে চাওয়ায় দাদা হিসেবে ভীষণ গর্ব হচ্ছে। আমরা পরিবার গত ভাবে ওর পাশে আছি।
