



#দেবলীনা ব্যানার্জী, রায়গঞ্জ: খুব স্বাভাবিকভাবেই মাকে ডাকার জন্য সন্তানেরা নিজস্ব ভাষা, সুর ও আবেগের ওপর ভরসা রাখে। কালীমায়ের আরাধনার সাথে শ্যামাসংগীত এর অবতারণা একপ্রকার অবিচ্ছেদ্য অংশ এই উৎসবের মরশুমে। ভক্তিরসে আপ্লুত হয়ে কালীমায়ের নিবেদনে যে গানগুলো গাওয়া হয়ে এসেছে সেগুলিকেই ভক্তিসংগীত বা শ্যামাসংগীত বলা হয়ে থাকে।
আর যেহেতু মাকে তার সন্তানেরা নিজেদের মত করেই আহ্বান করতে পারে, তাই শ্যামাসংগীত এ নতুন সুর ও আঙ্গিকের ব্যবহার এই সময়ের সংগীতকাররা করেই থাকেন। মূলত এই ভাবনা থেকেই রায়গঞ্জের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড রায়গঞ্জ রকার্স কালীপুজোর রাতে দেবীনগর দীপালি উৎসব এ প্রকাশ করল তাদের নিজস্ব ঘরানা ও আঙ্গিকে একটি শ্যামাসংগীত।
মনরে কৃষিকাজ জানোনা, এই বহুল পরিচিত গানটিকে রায়গঞ্জ রকার্স নিজেদের মতন করে রক ফরম্যাটে গেয়েছে, যেন গানের ভাবমূর্তির কোনোরূপ পরিবর্তন না হয় সেদিকে নজর রেখেই । রায়গঞ্জ রকার্সের পক্ষ থেকে লিড ভোকালিস্ট কৌশিক ভৌমিক জানান, “বেশ কিছুদিন থেকেই আমাদের গান সেভাবে রেকর্ড করা হয়ে উঠছিল না। গতবার দুর্গাপুজোর সময় আমাদের শেষ গান রেকর্ড হয়েছিল আনন্দধারা (রবীন্দ্র সংগীত)।
এই শ্যামাসংগীতটিও আমি বিগত পাঁচ সাত বছরে কালীপুজোর সময় বিভিন্ন স্টেজে গেয়েছি। তখনই প্রতিবার মনে হত গানটিকে নতুন আঙ্গিকে গাইতে পারলে ভালো লাগতো। এবার যখন রিহার্সাল এ ব্যান্ডের সকলে বসেছিলাম, তখন এটা মাথায় এলো। তাই এবার প্রচেষ্টা টা করা হল। গানটিকে রায়গঞ্জ রকার্সের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে শুনতে পাওয়া যাবে।” রক ফরম্যাটে এই শ্যামাসংগীত এ গলা শোনা যাবে কৌশিক ভৌমিকের।
সাথে রয়েছে দেবজিৎ, অভিনব, রূপম, তানাজি, শীর্ষেন্দু ও শিবা। পরপর হেমতাবাদ, দক্ষিণ দেবীনগর, নেতাজী স্মৃতি চক্র সহ বিভিন্ন দীপালি উৎসবের মঞ্চে গানটি পারফর্ম করা হবে বলে জানিয়েছে রকার্সের সদস্যরা। নতুন আঙ্গিকে শ্যামাসংগীত দর্শক কতটা পছন্দ করবে তা এই মঞ্চগুলোই জানিয়ে দেবে রকার্সদের।
