



#রায়গঞ্জঃ উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অমল আচার্য কি আবারও তৃণমূলে ফিরছেন, এ’নিয়ে ভাইফোঁটার পূণ্যলগ্নে এদিন জোর জল্পনা জেলার রাজনৈতিক মহলে। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোাপাধ্যায়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অমল আচার্য।
উল্লেখ্য, বিগত ২০২১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎই ইটাহার বিধানসভার ২ বারের স্থায়ী বিধায়ক অমল আচার্যকে সরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস টিকিট দেয়, উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের তরুণ প্রজন্মের নেতা মোশারফ হোসেনকে। এদিন অমল বাবু জানান, ইটাহারের বুকে যে পরিবারে ৯জন স্বাধীনতা সংগ্রামী সরকারি পেনশন পেতেন, সেই পরিবারের সদস্য আমি। রাজ্য থেকে বাম সরকারকে সরানোর জন্য বহু প্রচেষ্টা করেছি।
অবশেষে, ২০১১ সালে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা মাটি মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। অবসান ঘটে ৩৪ বছরের বাম সাম্রাজ্যের। কিন্তু ২০২১, হঠাৎই তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট কেন পাইনি, জানতে সেই মুহূর্তে বহু বার দলীয় নেত্রীর সাথে কথা বলি। আমাকে টিকিট না দিলেও বাম সরকার যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেই প্রচেষ্টা চালিয়েছি। বিজেপির পতাকা তুলে নিলেও রাজ্যে ব্যাপক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন হলে, দিদির প্রতি বরাবরের মত আস্থা দেখিয়েছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই নির্দেশে, দলে ফিরতে চেয়ে পুনরায় আবেদন করতে বলায় দলকে আবেদন জানিয়েছি। নিয়মিত ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ই মেল করছি। আমার দল যেদিন দলে ডেকে নেবে, সেদিন থেকে পুনরায় দলের সৈনিক হিসেবে কাজ করব।
উল্লেখ্য, জেলার জুড়ে তৃণমূল বিধায়কদের অধিকাংশ বর্তমান জেলা সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়ালার প্রতি আস্থা রেখে, অমল আচার্যকে দলে যাতে পুনরায় ফিরিয়ে না নেওয়া হয়, সেজন্য আবেদন করেন। তারপরই পিছিয়ে যায় অমলকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। যদিও উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়ালা এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান মোবাইল টেকনোলজির যুগে এমন জল্পনা খুব স্বাভাবিক। সেরকম ভাবেই রটে থাকতে পারে। তবে অমল আচার্যকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো খবর আমি জানি না।
