



#মালবাজার: কালীপুজার মন্ডবে এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর শালীনতা হানীর অভিযোগে বর্ষিয়ান এক হাই স্কুল শিক্ষককে আটক করলো মেটেলি থানার পুলিশ। যদিও স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী’র দাবি “উনি ষড়যন্ত্রের শিকার, সব ভিত্তিহীন অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের চালসা স্কুল পাড়া এলাকায়।নাবালিকা ছাত্রীর মা মুন দাস ও অন্যান্য পাড়া প্রতিবেশীদের অভিযোগ থেকে জানাগেছে, বুধবার রাতে ত্রয়োদশ বর্ষিয়া এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী কালী পুজার মন্ডব এলাকায় খিচুড়ি প্রসাদ খাচ্ছিলো।
সেই সময় কন্যার মা সহ অন্য প্রতিবেশী মহিলারা মন্ডবে ছিল। তাদের নজরে আসে তুফান মাইতি (৫৮) চালসা গয়ানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক মদ্যপ অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রীকে আপত্তিকর ভাবে জরিয়ে ধরে শালীনতা হানীর চেষ্টা করে। তারপর স্কুল ছাত্রীর মা মেয়েকে ওই শিক্ষকের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনে। এই ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে পাড়া প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ির সামনে চড়াও হয়ে শিক্ষকে ডাকাডাকি শুরু করে। প্রথমে বেরিয়ে না এলেও অনেক পড়ে শিক্ষক বেরিয়ে এলে প্রতিবেশীরা তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেটেলি থানার পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এনিয়ে ওই কন্যার মা ও প্রতিবেশীরা জানায়, “আমরা থানায় যাব এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাব।
আমরা চাই ওই শিক্ষকের কঠোর শাস্তি হোক। উনি যাতে এখানে চাকুরী করতে না পারে সেই দাবিও জানাব।কারন ওনার স্ত্রী ও কন্যা থাকা সত্বেও এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের স্ত্রী মৌসুমি মাইতি বলেন, এটা একটা ষড়যন্ত্রের উনি। এখানে কিছু লোক বরাবর চাইছেন স্যারের চাকুরী খেতে হবে।নানান ভাবে হেনাস্থা করার চেষ্টা করে। স্যার এবং আমি নানান ভাবে সামাজিক কাজ করি।
বহু ছেলেমেয়েদের বই খাতা কিনে দেই। এবার যখন পাড়ার কালীপূজা না হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেই সময় স্যার এগিয়ে এসে একার হাতে পুজার আয়োজন করেছে। পরে সবাই এসেছে। এখন ওনাকে হেনাস্থা করতে যড়যন্ত্র করেছে। এই ঘটনায় চালসা স্কুল পাড়া এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে মেটেলি থানার সুত্রে জানাগেছে, বিকাল পর্যন্ত অভিযোগ জমা হয় নি। অভিযোগ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে।
