



#রায়গঞ্জঃ কুলিক পেরিয়েই রায়গঞ্জ শহর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে রয়েছে বিহারের বারসই জেলার আবাদপুর গ্রাম। সেখানকার চৌধুরী বাড়ির শতাধিক বছরের পুরোনো কালীপুজোকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় এক সম্প্রীতির আবহ।এলাকার হিন্দু – মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মেতে ওঠেন কালী পুজোয় এবং বিসর্জনে অংশ নেন।পুজো শেষে, প্রতিমার বিসর্জনকে ঘিরে সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
গ্রামের ছেলেরা মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে কালী মায়ের মূর্তিকে কাঁধে নিয়ে দৌড় দেয়। পেছন পেছন ছুটতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। এই কালীদৌড় ঘিরে তৈরি হয় সম্প্রীতির এক আশ্চর্য আবহ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শতাধিক বছর আগে আবাদপুর গ্রামের চৌধুরী বংশধরেরা চালু করেছিলেন এই পুজো। গ্রামের সকলে এই পূজায় সামিল হতেন। আজও গ্রামের মানুষ এক সঙ্গে এই পূজা করেন।
তবে বিসর্জনের দিনে কালীকে কাঁধে নিয়ে দৌড়কে ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনি।চৌধুরী বংশধরদের অন্যতম সদস্য মহাদেব কুমার চৌধুরী গ্রামেই থাকেন। তিনি বলেন, এই পুজো সম্প্রীতির পুজো। সেই সময় গ্রামে অনেক পূজা হতো, কিন্তু পুকুর ছিল একটি। তাই নির্দিষ্ট প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে হুড়োহুড়ি হতো।
সেই সময় গ্রামের বিশিষ্টজনেরা প্রতিমা বিসর্জনের দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। আজও সেই রীতি বজায় আছে। তবে এই প্রতিযোগিতার নিয়ম ছিল দৌড়ে যাদের কালী প্রতিমা অক্ষুণ্ণ থাকবে, সেই প্রতিমাই প্রথম বিসর্জন দেওয়া হবে পুকুরে।
