News Britant

ছটপুজা ঘাটের চুরান্ত প্রস্তুতি দেখলেন মেন্টর অমরনাথ ঝাঁ

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#মালবাজার: রাত পার হলেই ছটপুজা।প্রতিটি নদীর ঘাটে সন্ধ্যায় জ্বলে উঠবে আলো। পুন্যার্থীরা অস্তগামী দিবাকরের কাছে অর্ঘ্য প্রদান করবেন। এই সময়  পুন্যার্থী ও পুজা আয়োজক কমিটি গুলি চুরান্ত প্রস্তুতি নিতে ব্যাস্ত। ডুয়ার্সের মালবাজার শহরে মালনদীর ঘাটে বেশ বড় করে পুজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই নদীর ধারে তিন জায়গায় ঘাট সাজানো হয়েছে। এছাড়াও সুর্য্যসেন কলোনি সংলগ্ন শংখনী ঝোড়াতেও ঘাট সাজানো হয়েছে। 

গত ৫ অক্টোবর মালনদীর ঘাটে ভাসান বিপর্যয় ও হরপা বানের কথা মাথায় রেখে আয়োজক কমিটি গুলি প্রশাসনের নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা নিয়েছে। মূল নদীকে এড়িয়ে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ জায়গায় একটি চ্যানেল কেটে পুজার জন্য ঘাটের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার মাল নদীর ধারে তিনটি স্থানে চুরান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আসেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের মেন্টর তথা জেলা হিন্দি প্রকোষ্ঠের সভাপতি অমরনাথ ঝাঁ।

সঙ্গে ছিলেন মাল পৌরসভার১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় লোহার, বিহারি বিকাশ সমিতির ধর্মেন্দ্র মিশ্র, মাল হিন্দি প্রকোষ্ঠের নেতা রমেশ গিরি প্রমুখ। পরিদর্শন শেষে শ্রী ঝা বলেন, গত দশমীর ঘাটে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার পর আমাদের মধ্যে আশংকা ছিল এবার এই নদীতে পুজার আয়োজন করা যাবে কি না? শেষমেশ আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধেয়া দিদি আবহাওয়া রিপোর্ট দেখে ও পরিস্থিতি বিচার করে অনুমতি দিয়েছেন।

এখানে প্রশাসনের নিয়ম মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সব রকম রক্ষা মুলক পদক্ষেপ নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে। এরসাথে ছটপুজা আয়োজক কমিটি গুলি আশা করছে যেভাবে দুর্গাপূজায় দিদি ক্লাব গুলিকে অনুদান দিয়েছে সেই ভাবে যদি আগামী বছর ছটপুজা কমিটি গুলিকে কিছু অনুদান দেয় তবে তারা আরও ভালো ভাবে আয়োজন করতে পারবে।

ছটপুজা আয়োজক কমিটি ও বিহারি বিকাশ সমিতির কর্মকর্তা ধর্মেন্দ্র মিশ্র বলেন, মহাকাল পাড়া সংলগ্ন মালনদীর ঘাটে বড় আয়োজন হয়েছে। এখানে ২৫০ টি পরিবার পুজো করতে পারবেন। কয়েকশ পুন্যার্থী তাদের অর্ঘ প্রদান করতে পারবেন। আমরা মুল নদী থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে আলাদা চ্যানেল কেটে পুজার আয়োজন করেছি। জানাগেছে রবিবার ছটপুজার আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যাণ ও আদিবাসী বিকাশ মন্ত্রী তথা বিধায়ক বুলু চিকবরাইক। থাকবেন মাল পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা। 

Leave a Comment