



#মালবাজার: ভাসান বিপর্যয়ের আতংক ও উদ্বেগ কাটিয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মালের পাঁচটি ঘাটে ছট পুজা উদ্বোধন করলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেনী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাল পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা, মাল মহকুমা শাসক পীয়ুস ভাগনরাও সালুংখে, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবীন থাপা প্রমুখ। সাবেক কাল থেকে ডুয়ার্সের অন্যতম বড় ছট ঘাট তৈরি হয় মালনদীর ধারে।
গত ৫ অক্টোবর ভাসান বিপর্যয়ের পর সেই মালনদীতে ছটপুজার আয়োজন হবে কি না? এনিয়ে সবার মধ্যে একটা সংশয় ছিল। অবশেষে ছটপুজার ব্রতীদের অনুরোধে প্রশাসন সব রকম সতর্কতা ও নিরপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে অনুমতি দেয়। মালবাজার শহরে মোট ৫ টি ঘাটে রবিবার বিকালে ব্রতীরা অর্ঘ্য নিবেদনের মধ্যে দিয়ে পুজা শুরু করেন। মাল নদীর তিনটি ঘাট নির্মাণ করা হয়েছিল। এরমধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ডের মহাকালপাড়া সংলগ্ন ঘাট সবচেয়ে বড় ছিল। এছাড়াও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপল্লী এলাকায় ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদিরামপল্লী এলাকায় দুটি ঘাট তৈরি হয়েছিল।
এছাড়াও শংখনী ঝোড়ার ধারে দুটি ঘাট নির্মিত হয়েছিল। এদিন বেলা গড়াতেই পুন্যার্থীরা তাদের অর্ঘ নিয়ে ঘাটে সমবেত হতে শুরু করে। বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে মুল নদী থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে আলাদা চ্যানেল কেটে ঘাট তৈরি করা হয়। এদিন বিকাল ৪ টা নাগাদ ৫ টি ঘাটের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। উদ্বোধন করে তিনি বলেন, গত ৫ অক্টোবর যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য নদীতে ছটপুজা করা নিয়ে সংশয় ছিল।
শেষে পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করে ও আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট দেখে অনুমতি দিয়েছে। একটা সময় এই ছটপুজা বিশেষ সম্প্রদায়ের পুজা ছিল। এখন এটা সার্বোজনিন হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। এটা ভালো দিক। পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা বলেন, গত ভাসান বিপর্যয়ের কথা ভেবে পৌরসভার পক্ষ থেকে নিরপত্তার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।আগামীকাল পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। এরসাথে পুলিশ, দমকল কর্মীরা ঘাটে থাকছে।
সিভিল ডিফেন্স ও পৌরসভার ভলেন্টিয়াররা প্রতি ঘাটে থাকছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ঘাটে পুন্যার্থীরা থাকবে ততক্ষণ এক ব্যবস্থা থাকবে। বিকাল হতে পুন্যার্থী অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করে। সন্ধ্যা পড়তেই ব্রতীরা বাড়ি ফিরে আসে। আবার কাল ভোরে আবার সবাই ঘাটে সমবেত হবে।
