



#মালবাজার: ২০২০ সালে শুখা ঝোড়ার প্রবল হরপা বানে বিপর্যস্ত হয়ে সেতুর মাঝের পিলার অনেকটাই বসে যায়। সেতুর উপরিতল বন্ধুর হয়ে আছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে সেতু। এইরকম এক বিপদজনক সেতুর উপর দিয়েই প্রতিদিন দুই চাবাগানের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। চলাচল করে পড়ুয়া বোঝাই স্কুল বাস থেকে পন্য বোঝাই গাড়ি। জীবনের ঝুকি নিয়ে এরকম ভাবে চলাচল করতে অনেকে আতংকে ভোগেন। নানান আশ্বাস পাওয়া গেলেও আজও পর্যন্ত সেতু নির্মাণের কোন আভাস পাওয়া যায় নি।এতেই বেশ হতাশ নিদান ও রাঙামাটি চা বাগানের শ্রমিকরা।
৩১ নম্বর জাতীয় সরক থেকে নিউমাল রেল স্টেশনের পাশ দিয়ে নিদান, রাঙ্গামাটি চাবাগানের নয়াকামান ডিভিশনের উপর দিয়ে গরুবাথান অভিমুখে চলে গেছে এসজেডিএর পাকা সরক। এই সরকের মাঝে পড়ে দুরন্ত পাহাড়ি শুখা ঝোড়া।শীতের সময় শুকনো থাকলেও বর্ষায় উত্তাল হয়ে ওঠে।নিদান চা বাগানে ঢোকার মুখে শুখা ঝোড়ার উপর রয়েছে ১৯৯৫ সালে নির্মিত পাকা সেতু। সেসময় চা বাগান কর্তৃপক্ষ সেতুটি নির্মাণ করেছিল। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের হরপা বানে বিপর্যস্ত হয়ে সেতুটি বসে যায়। তারপর থেকে একই ভাবে আছে। চলছে যাতায়াত।
চাবাগানের কর্মী এতোয়া মুন্ডা বলেন, ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্রবল হরপা বানে সেতুটি বিপর্যস্ত হয়ে বসে গেছে।তার উপর দিয়েই প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ স্কুল গাড়ি যাতায়াত করে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।চাবাগান কর্তৃপক্ষ থেকে বিভিন্ন মহলে জানিয়ে ফল হয়নি”।
নিদান চাবাগানের হেডক্লার্ক অরুপ গুহ মজুমদার বলেন, সেতুর বেহাল অবস্থার জন্য আমাদের অনেক অসুবিধা হয়। আমাদের যাতায়াতের এটাই একমাত্র রাস্তা। বর্ষার সময় চা বাগানের পন্যবাহী ট্রাক অনেক ঘুরে রাঙামাটি চাবাগান হয়ে যাতায়াত করে। ২০২১ সালে তৎকালীন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এখানে এসে সেতুটি নির্মানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কই কিছুই হলো না।
এলাকাটি রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। পঞ্চায়েত প্রধান অশোক চিকবরাইক বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য নক্সা ও প্রকল্প করে অনগ্রসর শ্রেনী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মাধ্যমে উত্তর বঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর সহ বিভিন্ন মহলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, নির্মাণ ব্যয় বেশি থাকায় অনুমোদন পেতে বিলম্ব হচ্ছে। আশাকরি অনুমোদন পাওয়া যাবে।অনুমোদন হলেই সেতু দ্রুত নির্মাণ হয়ে যাবে।
