News Britant

আধার কার্ডের টোকন নিতে উপছে পড়লো ভীড়

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#মালবাজার: আধার কার্ডের টোকন নিতে মাল প্রধান ডাকঘরের দরজায় উপছে পড়লো ভীড়। নিয়ন্ত্রণে নামতে হলো পুলিশকে। শনিবার আধার কার্ডের টোকন দেওয়ার কথা ছিল। এজন্য শুক্রবারশেষ রাত থেকেই মাল প্রধান ডাকঘরের সামনে মাল ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে আধার কার্ড তৈরী, সংশোধনের টোকেন সংগ্রহ করতে বহু মানুষ ভিড় জমান। ব্লকের তেশিমিলা, কুমলাই, রাঙ্গামাটি, ডামডিম, ওদলাবাড়ি, বাগরাকোট, পঞ্চায়েত এলাকার বহু মানুষ নতুন আঁধার কার্ড তৈরী সহ কার্ডের কারেকশন নিয়েই মূলত লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।

সকালে পোস্ট অফিসের মূল ফটক খুলতেই কাতারে কাতারে মানুষ ভেতরে প্রবেশ করেন। পোস্ট অফিসের কর্মীরা সাধারণ মানুষের ভীড় সামলাতে কার্যত হিমশিম খান। বন্ধ করে রাখতে হয় টোকেন বিলির কাজ। এতো মানুষের ভীড়ে কার্যত নাজেহাল অবস্থা হয় পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসতে হয় পুলিশ সহ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবীন থাপাকে। পরে পুলিশ ভীড় নিয়ন্ত্রণ করে। 

প্রসঙ্গত পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার সীমা মিঞ্জ বলেন, “ভীড় হতে পারে আর সেই কারণে আমরা গতকাল পুলিশের সহায়তা চেয়ে মাল থানায় চিঠি দিয়েছিলাম। পুলিশ আসার পরেই টোকেন বিলির কাজ শুরু করতে পেরেছি”। এদিন প্রথমে দুটি কাউন্টার থেকে টোকেন বিলি করার কাজ শুরু করলেও পরে টা বাড়িয়ে পাঁচটি কাউন্টার করা হয়েছে বলেই কর্তৃপক্ষের তরফে দাবী করা হয়েছে। এদিন পোস্ট অফিস প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায় শিশু কোলে বহু মহিলাও লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মহিলা ও পুরুষদের সাথে কথা বলে জানা গেলো, “পঞ্চায়েত অফিস থেকে আঁধার কার্ডের কাজ করা গেলে মধ্য রাত থেকে পোস্ট অফিসে লাইন দিতে হয় না। শিশু সহ বাড়ির সমস্ত কাজ ফেলে রেখে টোকেন সংগ্রহ করতে আসতে হয়েছে”।

কেউ এসেছেন রাত বারোটায় আবার কেউ কেউ রাত একটা থেকে লাইন দিয়েছেন। আবার কেউবা ভোরে এসেও লাইন দিয়েছেন আঁধার কার্ড সংশোধন বা সন্তানের নতুন কার্ড তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় টোকেন সংগ্রহ করতে। প্রসঙ্গত মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবিন থাপা বলেন, “পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধ মেনে পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ কাউন্টারের সংখ্যা বৃদ্ধি করাতেই টোকেন বিলির কাজে গতি এসেছে এবং বিরাট পুলিশ বাহিনী টোকেন সংগ্রহে আসা  সাধারণ মানুষের ভীড় সামলানোর কাজে নিযুক্ত রয়েছে”। তবে পোস্ট অফিস খুলতেই হুড়মুড়িয়ে বহু মানুষ ভেতরে প্রবেশ করলে সাময়িক ভাবে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে মাল থানার পুলিশ এসে ভীড় সহ উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করে।

Leave a Comment