



#ইসলামপুর: প্রয়াত স্ত্রীর সৃষ্টিকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তার স্বামী। প্রয়াত কবি লক্ষী নন্দীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে তার স্বামী কুনাল নন্দীর উদ্যোগে বিগত বছর থেকে শুরু হয়েছে সাহিত্য উৎসব। ৬ নভেম্বর কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ পোস্ট অফিস সংলগ্ন ময়দানে এই সাহিত্য উৎসবকে ঘিরে যেন মেতে রইল সাহিত্য প্রেমীরা। এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশের ঢাকার কবি মুকুল রায়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন মেখলিগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক পরেশ চন্দ্র অধিকারী এবং সভা মুখ্য ছিলেন বঙ্গ রত্ন ডঃ আনন্দ গোপাল ঘোষ। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেখলিগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান কেশব দাস, বিডিও অরুন কুমার সামন্ত, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিয়তি সরকার, বাংলাদেশের রংপুরের কবি জাকির আহমদ, কবি সৌমিত বসু, প্রাবন্ধিক মিনতি দত্ত মিশ্র, চা গবেষক রাম অবতার শর্মা, গল্পকার গোকুল সরকার, প্রাবন্ধিক অশেষ দাস ও কবি তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক সিরাজুল হক প্রমুখ।
সকলেই সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেন। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন মেঘনা ঘোষ তবলা সঙ্গতে ছিলেন রাজীব ঘোষ। অপরাজিতা অর্পণ আয়োজিত এই সাহিত্য উৎসবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পত্রিকার সম্পাদক কুনাল নন্দী। ওই উৎসবে অপরাজিতা অর্পণ পত্রিকার ১৩ তম বর্ষে দ্বিতীয় সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হয়। একই সাথে প্রকাশিত হয় “আমি সেই নারী” শীর্ষক প্রয়াত লক্ষ্মী নন্দীর কাব্যগ্রন্থ এবং ওপার বাংলার সম্পাদক মুকুল রায় এর “উত্তরায়ন” সাহিত্য পত্রিকা।
এদিন দুই বাংলার কবি লেখক তথা সাহিত্যিকদের লক্ষী নন্দী স্মৃতি সম্মাননা প্রদান করা হয়। ওই সম্মাননার তালিকায় ছিলেন এপার বাংলার কবি সৌমিত বসু, অতসী বাগচী, বাপ্পাদিত্য দে, সুদীপ চৌধুরী, মনিদিপা নন্দী বিশ্বাস, শৌভিক রায়, সঞ্জয় সাহা, সৌভিক দাস, এবং ওপার বাংলার কবি মুকুল রায় ও জাকির আহমদ। উৎসব চত্বরে ছিল একাধিক পত্রিকার স্টল এবং শিল্পী অমিত চক্রবর্তীর ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনী। স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নেন দুই বাংলার লেখকরা। সমগ্র অনুষ্ঠান কাব্য কথায় সঞ্চালনা করেন সুশান্ত নন্দী।
