



#চন্দ্র নারায়ণ সাহা, রায়গঞ্জঃ কুসংস্কার মুক্ত মনেই মঙ্গলবার বিকেল ও সন্ধ্যা জুড়ে রায়গঞ্জ বাসী উপভোগ করল এবছরের শেষ চন্দ্র গ্রহণ। এদিন ভারতীয় সময় অনুসারে বিকেল ২টা ৩৯ মিনিটে শুরু হয় এই পূ্র্ণ চন্দ্র গ্রহণ। এই চন্দ্র গ্রহণ চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে বলে জানান জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক পার্থ প্রতীম ভদ্র।
তিনি বলেন, এদিন উত্তর পূর্ব ভারত থেকে এই পূর্ণ গ্রাস চন্দ্র গ্রহণ দেখা গিয়েছে। তবে আমাদের জেলাবাসী জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে আংশিক চন্দ্র গ্রহণ উপভোগ করেছন। তাঁর কথায়, এদিন ছিল চলতি বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ। নিজের কক্ষ পথে ঘুরতে ঘুরতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী চলে এলে এমন ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই সংঘটিত হয়। এতে কোনো রাহু বা কেতুর কুসংস্কার নেই। তিনি জানান, ৮ই নভেম্বর, ২০২২, ছিল এ বছরের শেষ পূর্নগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, যা উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দৃশ্যমান থাকবে বলে পূর্বেই জানিয়েছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
এদিন রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুর, ডালখোলা, চোপড়া সহ সমগ্র জেলার সাধারণ মানুষ উপভোগ করেন এই আংশিক চন্দ্র গ্রহণ। কালিয়াগঞ্জ থেকে শিক্ষক নীলাদ্রি সিনহা বলেন, আমাদের এখানে বহু মানুষ খালি চোখে চন্দ্র গ্রহণ দেখার পাশাপাশি ক্যামেরা, মোবাইল নিয়ে ছবি তোলেন আংশিক চন্দ্র গ্রহণের। এদিন রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা যায় এই আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। শিক্ষিকা পর্না মিতা রায় বলেন, এদিনের চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে শহরের মানুষের মধ্যে যথেষ্ট উত্তেজনা ও আগ্রহ দেখা যায়।
বিকেল ঠিক ৪টা ৫০ মিনিট থেকে শুরু হয় লাল চাঁদের উদয় (blood moon) , যা চলে বিকেল ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। তারপর ধীরে ধীরে এই গ্রহণ ছাড়তে শুরু করে। তিনি আরও জানান, এই আংশিক চন্দ্র গ্রহণের পরেই বিকেল ৫টা ২১ মিনিটে শুরু হয় ইউরেনাসের গ্রহণ, যা খালি চোখে দৃশ্যমান হয়নি।
কুসংস্কার দূরীকরণে এদিন ইসলামপুরে এক ভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করল পশিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের উত্তর দিনাজপুর জেলা শাখা। এদিন তারা গ্রহণ চলাকালীন চা ও বিস্কুট খাইয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিজ্ঞান সচেতনতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হন।
