



#মালবাজারঃ দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থা পড়ে থেকে আস্তে আস্তে ধংসের দিকে চলে যাচ্ছে ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের টুরিস্ট লজের লজিং সিস্টেম। লজিং ব্যবস্থা সংস্কার করে আবার চালু করার দাবী উঠেছে। পর্যটক থেকে স্থানীয় মানুষ সবাই চাইছেন পুর্ন কলেবরে চালু হোক মালের এই লজিং সিস্টেম। প্রায় ৪ দশকের পুরানো কাঠের লজটিকে হেরিটেজ হিসাবে মান্যতা দেওয়া হোক। মালবাজার শহরের প্রবেশ পথের বাঁ- দিকে বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে মাল টুরিস্ট লজ যার বর্তমান পোশাকী নাম “বনলক্ষী”।
তখন রাজ্যে বিপূল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতা এসেছেন বামফ্রন্ট সরকার। বন ও পর্যটন মন্ত্রী হয়েছেন সাবেক ক্রান্তি বিধানসভার বিধায়ক আদপে মালবাজার শহরের বাসিন্দা পরিমল মিত্র। মুলত তার উদ্যোগে একাধিক সরকারি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেই সরকারি প্রকল্পের অন্যতম ছিল মাল পার্ক ও টুরিস্ট লজ।পার্কের পাশে চাবাগান ঘেরা সুন্দর মনোরম কাঠের দ্বিতল ভবনে চালু হয় মাল টুরিস্ট সেন্টার।ছিল একাধিক রাত্রি যাপনের লজিং সিস্টেম। সেই সময় মালবাজার শহরে পর্যটক বা বাইরের মানুষদের দ্বিতীয় কোন ভবন ছিল না। স্বাভাবিক ভাবে অতি অল্প দিনের মধ্যে লজিং ব্যবস্থা ও আহারের ভালো ব্যবস্থার জন্য সুনাম অর্জন করে এই লজ।
এই লজে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, ভুমি রাজস্ব মন্ত্রী বিনয় চৌধুরী সহ বহু মন্ত্রী এই লজের পরিসেবা নিয়েছেন। এসেছেন বহু বিরোধী নেতা, চলচিত্রের অভিনেতা সহ নানান ব্যাক্তিত্ব। এই শতকের গোড়ার দিকে লজের চাহিদা বাড়ায় পুরানো কাঠের ভবনের পাশে নব কলেবরে চালু ৮ টি রুম সহ আধুনিক পাকা লজ। গুরুত্ব বাড়ে লজের। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। কয়েক বছর আগে সুন্দর ভবন নির্মিত হয়। চালু হয় আধুনিক ব্যবস্থা। বর্তমানে নতুন সুদৃশ্য ভবনে রয়েছে বার, আহারের সুব্যবস্থা।
কিন্তু,অন্যান্য ব্যবস্থা চালু থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে লজিং সিস্টেম। বন্ধ থাকায় ভেঙে পড়ছে সাবেক কাঠের ভবনের অংশ। পাকা লজের ক্ষয়িষ্ণু দশা প্রাপ্ত হতে চলছে। এমতাবস্থায় অনেকেই লজের কর্মী সহ পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষ চাইছেন সংস্কার করে সেই আগের মতো চালু হোক লজিং সিস্টেম। ষোল কলায় পুর্ন হোক টুরিস্ট লজ।তাতে সরকারের আয় যেমন বাড়বে পাশাপাশি কর্ম সংস্থানের সুযোগ ঘটবে।
