News Britant

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শিশু ও পেট্রোল সাথে করে এসডিও দপ্তরে ধর্নায় এক মহিলা

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#মালবাজার: পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শিশু কোলে নিয়ে পেট্রোলের বোতল সাথে করে সঠিক তদন্তের দাবীতে মাল মহকুমাশাসকের দপ্তরের সামনে ধর্নায় বসলো এক মহিলা। যদিও পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় ধর্না প্রত্যাহার করেন।শুক্রবার সকাল ১১টা ঘটনাটি ঘটেছে মাল মহকুমা সদর দপ্তরের সামনে।শুক্রবার সকালে দেখা মাল মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে বেদশ্রুতি দাস (ঝা) নামের এক মহিলা কোলে শিশু নিয়ে সামনে এক বোতল পেট্রোল রেখে ধর্নায় বসেছে।

পাশে রয়েছে হাতে লেখা একটি পোস্টার। তাতে লেখা রয়েছে “আমার বাবার মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চাই। পলিশ অফিসার গনেশ বর্মনের শাস্তি চাই। আমাকে ধর্না থেকে তোলার চেষ্টা হলে গা’য়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করবো”। এনিয়ে ওই মহিলা বলেন, “আমার বর্তমান  বাড়ি মাল পৌর এলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বাঘা যতিন ক্লাবের সামনে। আমার শশুড়বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরে। গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমার বাবার রহস্যময় ভাবে মৃত্যু হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমার সন্দেহ থাকায় আমি মাল থানায় এজাহার করি। কিন্তু, সঠিক তদন্ত হয় নাই।

তদন্তকারী অফিসার গনেশ বর্মন আমার অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করে নাই। আমি আবার মাল থানায় অভিযোগ করেছি। আমি চাই আমার বাবার মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হোক। কারণ আমার বাবা স্বপন কুমার দাস জলপাইগুড়ির প্রায় সোয়া কোটি টাকার  বাড়ি জমি বিক্রি করে মালবাজার শহরে আসেন। আমার অনুমান সেই বিশাল অঙ্কের টাকার লোভে কেউ তাকে খুন করতে পারে। তাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শান্তি দিক”। এভাবে আচমকা ধর্নায় বসায় এসডিও অফিসের সামনে ভীড় হয়ে যায়।

খবর পেয়ে মাল থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে কথা বলেন। পরে মহিলা ধর্না থেকে উঠে যান।এনিয়ে মাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবীন থাপা বলেন, ওই মহিলা আগেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার তদন্ত হয়েছে। আবার গত ৩১ অক্টোবর আবার অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে। আজ উনি ধর্নায় বসেছিলেন। পুলিশ তাকে বুঝিয়েছে এবং তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। পরে উনি ধর্না তুলে নেয়”। এনিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মহিলার পিতা স্বপন কুমার দাস আদপে জলপাইগুড়ির শহরের বাসিন্দা। পেশায় শিক্ষক ছিলেন। গত ১৯৯৮ সালে মহিলাকে কন্যা হিসাবে দত্তক নেন। পরে বিভিন্ন কারণে মালবাজার শহরে চলে আসেন। 

Leave a Comment