



#মালবাজার: দ্বিতীয় দিনে দেখা মিললেও অধরা রইল মেটেলি ব্লকের কিলকোট চাবাগানের সেই পূর্নবয়স্ক ভালুকের। মঙ্গলবারও সারাদিন বনকর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে যান ভালুকটিকে ধরার। একবার দেখা পাওয়া গেলেও দিনের শেষ পর্যন্ত অধরা রইল ভালুক। এতেই আতংক বেড়ে উঠছে কিলকোট চাবাগান সহ আশেপাশের এলাকায়।
শীত পড়তেই ডুয়ার্সের বিভিন্ন চাবাগান ও বন বস্তি এলাকায় ভালুকের দেখা মিলতে শুরু করেছে। গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে ডুয়ার্সের বনাঞ্চল কিম্বা চাবাগান এলাকায় ভালুক প্রায় অদৃশ্য ছিল। গত ২৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখে হটাৎ মেটেলি ব্লকের মুর্তি দেখা পাওয়া যায় এক পূর্নবয়স্ক ভালুকের। ভালুকের আক্রমনে মারা যায় এক স্কুল ছাত্র। পরে ভালুকটিকে পিটিয়ে মারে স্থানীয়রা। সেই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরে নাগরাকাটা এক অপ্রাপ্তবয়স্ক ভালুক ধরা পড়ে।
তারপর এদিক ওদিক ভালুকের দেখা পাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর গরম পড়তেই ভালুকের দেখা পাওয়া যায়নি। কমে আসে ভালুকের আতংক। দীর্ঘ কয়েক মাস ভালুক নিয়ে চর্চাই ছিল না। গত কয়েকদিন আগে শীত পড়তেই কালচিনি ব্লকে আবার দেখা পাওয়া যায়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই গত সোমবার চালসা সংলগ্ন কিলকোট চাবাগানের আবাদি এলাকায় কীটনাশক স্প্রে করার সময় এক পুর্নবয়স্ক ভালুকের দেখা পায়।
ভালুকের দেখা মিলতেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বনকর্মীরা। চলে আসে মেটেলি থানার পুলিশ। দিনভর ভালুকের তল্লাসি চলে। বিকালের দিকে একবার দেখা পাওয়া গেলেও ধরা সম্ভব হয়নি।মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও তল্লাশি শুরু হয়। মাঝে একবার এক আবাদি এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে দেখা যায়। তারপর থেকে অধরাই থেকে যায় সেই ভালুকের।
বন্যপ্রান বিভাগের খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার সজল কুমার দাস জানান, আমরা ভালুকটিকে ট্রাক করার চেষ্টা করছি। চাবাগানের ঘন এলাকায় সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি”। চা বাগানের শ্রমিক নেতা প্রকাশ নায়েক বলেন, আজ ভালুকটিকে ৯ নম্বর সেকসনের দিকে যেতে দেখা গেছে। ভালুকটিকে না ধরা পর্যন্ত শ্রমিকরা আতংকে রয়েছে।সন্ধ্যার পর কেউ এদিক ওদিক যেতে ভয় পাচ্ছে। ওই সেকসনের পাশেই রয়েছে বস্তি ও শ্রমিক মহল্লা।শ্রমিক মহল্লায় চলে এলে সমস্যা হবে।
