



#ইসলামপুর: বাঙলা ভাষার লেখক হিসেবে উত্তর প্রদেশে আন্তর্জাতিক সম্মানে সম্মানিত হলেন ইসলামপুরের লেখক সুশান্ত নন্দী। অন্তরাষ্ট্রীয় তথাগত সৃজন সম্মান’২০২২ এ সম্মানিত করা হয় তাকে। গত ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক আবহে সিদ্ধার্থ তথাগত সৃজন সম্মান সমারোহ অনুষ্ঠিত হলো উত্তর প্রদেশের সিদ্ধার্থ নগর জেলার ইটওয়াতে। সেখানে বাঙলা ভাষার একমাত্র লেখক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের লেখক সুশান্ত নন্দী।
বাংলা ভাষার পাশাপাশি হিন্দি, নেপালি ও অসমীয়া সহ বিভিন্ন ভাষাভাষী লেখকদের মধ্যে মেল বন্ধনের পাশাপাশি ভ্রাতৃত্ববোধ গঠনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার জন্য মঞ্চে প্রশংসিত ও সম্মানিত হন সুশান্ত নন্দী। উল্লেখ্য, এর আগে নেপাল ও বাংলাদেশের পাশাপাশি তিনি ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, বিহার ও পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। এই সমারোহের আয়োজক সিদ্ধার্থ তথাগত কলা সাহিত্য সংস্থান। নেপাল ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের কবি সাহিত্যিকদের সম্মান প্রদান করা হয় সেখানে।
উত্তর বঙ্গের সুশান্ত নন্দীর পাশাপাশি ছিলেন দার্জিলিং জেলার নেপালি ও হিন্দি ভাষার কবিরা যথাক্রমে ডঃ কমলা তামাং, পার্বতী মোক্তান, লতিকা যোশী অরোরা, ডঃ গীতা ছেত্রী, মুকেশ কুমার ঠাকুর, নরেশ ছেত্রী, নীরা সুব্বা, নিতা তামাং, যোগেন্দ্র দারনাল, সুংমু লেপচা ও শিলা লামা। সিকিম থেকে ছিলেন বিশিষ্ট লেখক যুবা বড়াল, অপ্সরা দাহাল ও প্রীতম সহযাত্রী। তবে মিরিকের হিন্দি তথা নেপালি কবি ডঃ কমলা তামাংকে আন্তর্জাতিক সিদ্ধার্থ তথাগত কলা সাহিত্য গৌরব সম্মানে সম্মানিত করা হয়।
সংস্থার লক্ষ ও উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকার জন্য তাকে এই বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ওই তালিকায় ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট লেখক। বাকি লেখকদের তুলে দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক তথাগত সৃজন সম্মান। দুই দেশের প্রায় চল্লিশ জনকে এই সন্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিভা চৌহান, সভাপতিত্ব করেন রাজেন্দ্র পরদেশী, বিশেষ সহযোগী ছিলেন ডঃ কমলা তামাং, অন্যান্য বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ সবিতা দাস, অশোক কুমার বর্মা,ডঃ দীপক পান্ডে, ডঃ নুতন পান্ডে ও ডঃ সূর্য প্রসাদ লাকোজুর মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক তথা অধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর শর্মা অষ্টম আন্তর্জাতিক এই সাহিত্য অনুষ্ঠানে যারা সাহিত্যকে ভালোবেসে অনেক দূর দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। সব ভাষাকে সম্মান জানিয়ে হিন্দি ভাষার প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে এই সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে চলছে বলে জানান তিনি। এদিন ভারত ও নেপালের একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি প্রকাশিত হয় আয়োজক সংস্থার স্মরণিকাও।
সরস্বতীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শুরু হয় অনুষ্ঠান। ওই সাহিত্য সমারোহে উপস্থিত হয়ে ছিলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের পাশাপাশি দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, নাগাল্যান্ড, সিকিম, বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্যের ও নেপালের শতাধিক লেখক প্রতিনিধিরা। ইসলামপুরের লেখক সুশান্ত নন্দী জানান, এই সম্মানে তিনি গৌরবান্বিত। আগামীতে বিভিন্ন ভাষাভাষীর লেখকদের সাথে সমন্বয়ে ও মৈত্রীর বন্ধন গড়ে তোলার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা নিয়ে তার কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে।
