News Britant

ভোটের মুখে ৩০ বছরের বেশি পুরোনো রাস্তা নির্মাণ, জানেই না পঞ্চায়েত

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#রায়গঞ্জঃ দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গ্রামের প্রধান একটি রাস্তার দাবিতে অভিযোগ, অনুযোগ, মান, অভিমান, ভোট বয়কট, বিক্ষোভ সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। অবশেষে শুরু হল রায়গঞ্জ থানার ১১ নম্বর বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর রূপাহার গ্রামের ৩০ বছরের বেশি পুরোনো একটি রাস্তার সিমেন্ট ঢালাইয়ের। এতে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ সরকার বলেন, আমার বয়স প্রায় ২৬ বছর। আমার জন্মের সময় থেকে এই রাস্তা টিকে পিচ বা সিমেন্ট ঢালাই করার দাবি ছিল। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞান কারণে এই রাস্তা তৈরি হয়নি। এতে একদিকে যেমন বর্ষার সময় জল জমে থাকত, ঠিক তেমনি ভাঙা রাস্তায় বহুবার দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। চিকিৎসা, শিক্ষা সহ বিভিন্ন কারণে সাধারণ মানুষের ভীষণ অসুবিধা হত।

এই ৫০০ মিটার রাস্তার ফলে কিছু অংশের মানুষের সুবিধা হবে ঠিকই তবে, আরও বড় অংশের কাজ বাকি রয়ে গেল। আরেক বাসিন্দা প্রফুল্ল বর্মন বলেন, এই রাস্তার দাবিতে আমরা ভোট বয়কট পর্যন্ত করেছি। বহুবার আবেদন, নিবেদন করেও রাস্তা হচ্ছিল না। এখন রাস্তা হওয়ায় আমরা ভীষণ খুশি। তবে পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন হওয়ায় এই ৫০০ মিটার রাস্তার কাজ হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রাম বাসী বলেন, সামনে ভোট বলেই আমাদের মন তুষ্ট করার চেষ্টা পঞ্চায়েতের। ওদিকে বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল আলমকে রাস্তার কাজ নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁর বক্তব্য, আমাদের পঞ্চায়েতের উত্তর রূপাহারে কোনো কাজ হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। এই বিষয়ে আমাকে কিছু বলা হয় নি।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সহসভাপতি সঞ্জয় মিত্র কিছু জানতে পারেন। এদিকে সঞ্জয় মিত্রকে রাস্তা তৈরি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, উত্তর রূপাহারে ৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যয় করে ৫০০ মিটার সিমেন্ট ঢালাই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের অর্থে ওখানকার মানুষের বহুদিনের দাবি পূরন করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। তিনি আরও জানান, উত্তর রূপাহারের ওই রাস্তা বাদে আরও অতিরিক্ত ২টি রাস্তার কাজও শুরু হয়েছে।

ওগুলোর মোট বরাদ্দ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও ঘুঘুডাঙা মোড় ও পোয়ালতোড়ে যাত্রী প্রতীক্ষালয় সহ টয়লেট তৈরির প্রস্তাব পাশ হয়ে অর্থ অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রতীক্ষালয়ে একটি ক্যান্টিন থাকবে। এই ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিই টয়লেটটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। এক্ষেত্রেও জেলা পরিষদের মোট বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকা। শীঘ্রই এই কাজটা আমরা করব।

Leave a Comment