



#মালবাজার: বুধবার দুপুরে মালবাজার পৌরসভায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা শহরে নির্মিত পাঁচটি মার্কেট কমপ্লেক্সের দোকানঘর বিলি সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দোকানঘর বন্টন ও সংগ্রীহিত অসচ্ছতা দূর করে প্রকৃত তথ্য জানানোর নিয়ে গত মাস খানেক ধরে সোচ্চার ছিলেন শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর পুলিন গোলদার ও অজয় লোহার। এনিয়ে গত কয়েক দিন ধরে মালবাজার শহর ছিল সরগরম।
এদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বপন বাবু বলেন, “শহরে মোট পাঁচটি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। মূলত শহরের বেকার যুবকরা যাতে ব্যবসা করে স্বনির্ভর হতে পারেন এদিকে লক্ষ্য রেখেই এই দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। পাঁচটি মার্কেট কমপ্লেক্সে মোট ৯৬ টি দোকান ঘর তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে সাতটি দোকানঘর হকারদের জন্য নির্দিষ্ট করা রয়েছে। এখনো দোকানঘর ফাঁকা রয়েছে পাঁচটি”।
তিনি আরো বলেন, “দোকান ঘর বিক্রি করে পৌরসভার আয় হয়েছে মোট ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। দোকান ঘর গুলি যখন ক্রেতারা বুকিং করেছিলেন সেই সময় কেউ কেউ এক লক্ষ বা পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জমা করেছিলেন। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে দোকান ঘর গুলির জন্য নির্দিষ্ট করা অর্থ জমা করেছিলেন ক্রেতারা। এখনো দোকানঘর বিলিবন্টনের ক্ষেত্রে পৌরসভার বকেয়া রয়েছে ১৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা”।
বিগত পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে পৌরসভা দোকান ঘর বিক্রির অর্থ আদায় করেছে”। তবে দোকান ঘর বণ্টনের যে তালিকা এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের পরে চাওয়া হলে পৌরসভার তরফে সেই তালিকা সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে একাউন্ট সেকসনে জেনে নিতে। তবে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনের পরে শহরের বিরোধী দলের তরফে দোকান ঘর বন্টন প্রসঙ্গে তোলা হয়েছে।
শহরের সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান পার্থ দাস বলেন, “সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কি বলেছেন আমরা জানিনা তবে আমাদের দাবি দোকান ঘর বন্টন নিয়ে যে অর্থনৈতিক অনিয়মের কথা উঠে এসেছে তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে পৌরসভার নোটিশ বোর্ডে লাগাতে হবে জনগণের স্বার্থে”। অপরদিকে শহরের বিজেপি টাউন মন্ডল সভাপতি নবীন সাহা বলেন, “লটারির মাধ্যমে দোকান ঘর বন্টন করা হয়নি কেন? অবিলম্বে লিখিত আকারে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে”।
