



#মালবাজারঃ চা বাগান নিয়ে দিল্লীর বিজেপি সরকার শুধু ভাওতা দিয়ে যাচ্ছে। সত্যি যদি কোন বরাদ্দ করতো তবে গরুর গাড়ি করে পাঠালেও এতদিনে চাবাগানে পৌঁছে যেত। বাস্তবে কোন বরাদ্দই করেনি, শুধু ভাওতা দিয়েছে। বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ৭টি অধিগ্রহণের কথা বলেছিল। গেজেটে প্রকাশও করেছিল। কিন্তু, কিছুই হয়নি। চাবাগানের জন্য হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। একটা টাকাও আসেনি।
বলেছিল বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি হবে। উল্টো ছাটাই হচ্ছে”।বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের বাগরাকোট চাবাগানে শ্রমিকদের আইডেন্টিটি কার্ড বিতরণ করতে এসে এভাবেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও তাদের নীতির সমালোচনা করেন রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। তার সঙ্গে ছিলেন আইএনটিটি ইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
আইডেন্টিটি কার্ড দেওয়ার পর মন্ত্রী শ্রী ঘটক বলেন, আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ গত ১০ সেপ্টেম্বর মালবাজার শহরে এসে ঘোষণা করেছিলেন যে চাবাগানের শ্রমিক দের জন্য ৬ মাসের মধ্যে আইডেন্টিটি কার্ড ব্যবস্থা করতে। আমরা ১২ দিনের মধ্যে কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে। এর আগেও একটি চা বাগানে দিয়েছি। আজ এখানে দিলাম। ওনার নির্দেশ মতো ৫০ টি চাবাগানে ক্রেজ হাউস হচ্ছে। যেখানে শিশুদের রেখে মা’য়েরা কাজে যেতে পারবে।
আমরা কয়েকটি চাবাগানে প্রাইমারি হেলথ সেন্টার করার উদ্যোগ নিয়েছি। এই চাবাগানেও একটি সেরকম হেলথ সেন্টার হবে। জায়গা দেখা হয়েছে। টেন্ডারও হয়ে গেছে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে।মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সীমিত ক্ষমতার মধ্যে কাজ করে চলছে। আর বিজেপি শুধু মিথ্যা কথা বলে ভাওতা দিয়ে যাচ্ছে”।
শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় বলেন, আমাদের নেতা অভিশেক বন্দোপাধ্যায়ের কথা মতো আমরা ৫০ টি চাবাগানে ক্রেজ হাউস ও ৩০টি চা বাগানে হেলথ সেন্টার করা হবে। স্থান নির্বাচন হ’য়ে গেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত কাজ শেষ করে মানুষকে পরিসেবা দেওয়া হবে”।এদিন এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ছেত্রী, শ্রমিক নেতা পুলিন গোলদার প্রমুখ। এদিন এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়।
