



#মালবাজার: মাল পৌর সভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে “হাউজিং ফর অল” প্রকল্পের ঘর না করেও টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলিন গোলদারের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি সেই অভিযোগ মেনে নিয়ে পাল্টা বিগত বোর্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবী করেছেন। শুক্রবার শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা অজয় প্রসাদ পেশায় ঠিকাদার এই অভিযোগ করেন। এদিন তিনি পৌরসভার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানতে আসেন।
পৌরসভা ভবনের সামনে তিনি জানান, “আমি ৫ বছর ধরে হাউজিং ফর অল প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কাজ করে আসছি। আজ পর্যন্ত বিল পাইনি। অথচ গীতা রজক ও রিঙ্কু দেবী নামের দুই মহিলা ঘরের কাজ না করেও তাকে টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন কাউন্সিলর। তাকে টাকা পাইয়ে দেওয়ার হয়েছে।আমি পৌরসভায় অভিযোগ জানাতে এসেছি। আমি প্রতিকার চাইছি”।
ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রভু প্রসাদ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলিন গোলদার অভিযোগ করেছিলেন যে পৌরসভায় অনেক আর্থিক দূনীতি হয়েছে। অথচ উনি কিভাবে এরকম কাজ করলেন? দুইজনকে কাজ না করেও টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন? আমরা এর জবাব চাই।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলিন গোলদার বলেন, আমি ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই কাজ করেছি। গীতা রজক নামের এক মহিলা আমার কাছে এসেছিল। তার ঘরে দুটি যুবতী মেয়ে রয়েছে। তার ঘরের অল্প কিছু কাজ বাকি ছিল। আমি তার টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।পেয়েছে কি না? জানিনা। আমি এজন্য এই কাজ করেছি যেন সত্য প্রকাশের জন্য তদন্ত হোক।আমার আগে এই ওয়ার্ডে দেখা ৫ টি ঘরের বিল পাশ হয়েছে অথচ ৩টি ঘর হয়েছে বাকি দুটি ঘর না হয়েও টাকা উঠছে।
বহু বেনিফিশিয়ারির একাউন্টে ৩.৪৩ লক্ষ টাকার বদলে ৪ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। অতিরিক্ত ৫৭ হাজার টাকা উঠেও গেছে। এরকম অসচ্ছ কাজ হয়েছে। এসবের যাতে সঠিক তদন্ত হয় তারজন্য আমি ইচ্ছাকৃত এই কাজ করেছি। আগের অসচ্ছতা নিয়ে আগেও চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। আমি চাই পূর্নাঙ্গ তদন্ত হোক।
