



#মালবাজার: মাল পৌর সভার অভ্যন্তরীণ আর্থিক অসচ্ছতার অভিযোগের মাঝে জাতিগত কটুক্তি নিয়ে উত্তাল হলো ডুয়ার্সের মালবাজার শহর। এই উত্তাল পরিবেশের মাঝে তৃনমুল কংগ্রেসের দুই শ্রমিক নেতার শুরু হয়েছে চাপানউতর। পরস্পরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে অভিযুক্ত করছেন।
মাল পৌরসভার সদস্য অজয় লোহারের প্রতি নেহা দাস নামের এক মহিলা জাতিগত কটুক্তি করেছেন এবং থানায় অভিযোগ সত্ত্বেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার মালবাজার শহরে আদিবাসী সমাজের মানুষজন মিছিল করে ডেপুটেশন দেন। সেখানে নেহা দাসের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। তার সাথে আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি রাজেশ লাকরার কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাজেশ লাকরা জানান, “এসব আরএসএস’ য়ের এজেন্ডা। পুলিন গোলদার, অজয় লোহার, আগাস্তুস কেরকেট্টা এরা সবাই আরএসএসের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে। শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত”।
রাজেশ লাকরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন তাদের মধ্যে পুলিন গোলদার তৃণমূল কংগ্রেস চা মজদুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মাল পৌরসভার সদস্য, অজয় লোহার মাল পৌরসভার সদস্য, আগাস্তুস কেরকেট্টা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।দলের আর এক শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে এভাবে আঙুল তোলায় পুলিনবাবু যথেষ্ট বিব্রত।
পুলিনবাবু ফোনে জানান, আমি আমাদের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পিএফ অফিস ঘেরাও প্রোগ্রাম নিয়ে লিসরিভার চাবাগানে আছি। তবে বলতে চাই আমি আদিবাসী সমাজের কেউ নই। শ্রমিকদের সঙ্গে আছি। আজকের ঘটনার জন্য রাজেশবাবু দায়ী। দিশা হারিয়ে আমাকে অভিযুক্ত করছে। উনি কবে দলে এসেছেন? দলের নীতি কি জানেন? আমি দলের নেতৃত্বকে জানাব যে দল যেন সবদিক তদন্ত করে ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। আজকের ঘটনায় আমাকে জরানো উচিত হয়নি।
