



#মালবাজার: মুশকান ওঁরাও, নীরোজ ছেত্রী, শিবানী বিশ্বকর্মা, বিক্রম দর্জি নামের এই ছেলেমেয়েরা বিখ্যাত কেউ নয়। ওরা আমাদের মতো স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারে না। কেউ কথা বলতে পারেনা, আবার কেউ শ্রবণে অক্ষম।ওরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। কিন্তু, প্রশিক্ষণ পেলে খেলাধুলা করা কিম্বা কম্পিউটার চালাতেও পারে। শনিবার ডুয়ার্সের বাগরাকোট ভানুভক্ত ময়দানে এই রকম দৃশ্য দেখা গেল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে।
ডুয়ার্সের চাবাগান এলাকায় এই রকম বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বিভিন্ন বয়েসের মানুষের সংখ্যা বেশ কিছু রয়েছে। এইরকম বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের নিয়ে প্রায় দেড় দশক ধরে কাজ করে চলছে “নিঃস্বার্থ” নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ২০০৬ সালে বাগরাকোট চাবাগানের ম্যানেজার হর্শ কুমার এবং তার স্ত্রী নিলম কুমার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দের নিয়ে কাজ করার তাগিদে নিঃস্বার্থ নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গঠন করেন।
২০০৮ সালে স্ত্রী’র মৃত্যুর পর হর্শ কুমার সম্পুর্ন ভাবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। তিনি এবং সঞ্জনা সরকার নামের এক মহিলা মিলে স্থানীয়দের নিয়ে এগিয়ে চলছেন। বর্তমানে ৭৯ চাবাগানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের নিয়ে কাজ করছেন। বাক ও শ্রবন অক্ষমদের খুলেছেন স্কুল। প্রায় ২০০০ জনকে হুইলচেয়ার ও ট্রাই সাইকেল দিয়ে চলাচলের সুবিধা দিয়েছেন। শনিবার বিভিন্ন চাবাগানের বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের আয়োজন করে ক্রীড়ানুষ্ঠান।
এদিন এই ক্রীড়ানুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পদ্মশ্রী করিমুল হক। উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক পীয়ুস ভাগনরাও সালুংখে, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সেলীনা ছেত্রী, সহ বিভিন্ন ব্যাক্তি। এদিন বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের দৌড়, হুইলচেয়ার রেশ সহ একাধিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। হর্শ কুমার বলেন, প্রতিবন্ধী রা শারীরিক ভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নরা সমাজের বোঝা নয়। অবাঞ্চিত নয়। সুযোগ পেলে তারা আমাদের মতো স্বাভাবিক কাজ করতে পারে।
