News Britant

ফেরিওয়ালা থেকে বৈষ্ণবগুরু ও সমাজ কর্মী চালসার যোগেন দাস

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

 

#মালবাজার: মানুষের জীবন এক জায়গায় থেমে থাকে না। একাগ্রতা ও কর্তব্য নিষ্ঠা থাকলে মানুষের মঙ্গলে একার উদ্যোগে গড়ে তোলা যায় মানব কল্যাণের প্রতিষ্ঠান। চালসার যোগেনদাস এরকম কর্ম কান্ডের এক ব্যাক্তিত্ব। চালসার স্কুল পাড়া এলাকায় গেলেই দেখা যাবে সীতারামদাস গোবিন্দ মন্দির। মন্দিরে রয়েছে রাধ কৃষ্ণের বিগ্রহ, রাসচক্র, হনুমান মন্দির ও অন্যান্য দেব দেবীর বিগ্রহ ও মন্দির।

নিয়মিত পুজা অর্চনা হয়। শুধু পুজা অর্চনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই মন্দিরের কাজ। মন্দির রয়েছে বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। রয়েছে বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা। গড়ে তোলা হচ্ছে অতিথি নিবাস। চালসায় ঘুরতে এসে কেউ যদি থাকতে চায় তারা থাকতে পারবেন বলে মন্দিরের সেবাইত যোগেনদাস জানান। মন্দিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চলে দরিদ্র নারায়ণ সেবা বিরাট এই প্রতিষ্ঠান গত ৩০ বছর ধরে একার উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন সদা বিনয়ী বৈষ্ণবগুরু যোগেনদাস।

নিজের মুখে জানালেন, মানুষের কাছ থেকে চেয়ে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। মানুষের দানে গড়ে উঠেছে। নিয়মিত পূজা হয়। কৃত্তন হয়।গত ১৯৯০ সাল থেকে এভাবেই চালিয়ে যাচ্ছি। চালসা এলাকায় রথযাত্রা মেলা ও রাসযাত্ উৎসবের  চালু করেন এই যোগেনদাস। আজ সেই সব সার্বজনিন ও সামাজিক উৎসব। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্তরা যেমন আসেন এই মন্দিরে তেমন বিশিষ্ট জনেরাও নানান অনুষ্ঠানে আসেন। 

বর্তমানে চালসার অন্যতম এক দ্রষ্টব্য স্থান এই মন্দির। গত ৮ দশকে বাড়িতে মিষ্টি বানিয়ে মালবাজার, চালসা এলাকায় একদা ফেরি করেছেন যোগেনদাস। তারপর কৃষ্ণ সেবায় ব্রতী হন। গড়ে তোলেন মন্দির ও আশ্রম। 

Leave a Comment