News Britant

কৃষি দপ্তরের পরামর্শ উপেক্ষা, রায়গঞ্জের উপকন্ঠেই দিনের আলোতে চলছে ন্যাড়া পোড়ানো

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

 

#রায়গঞ্জঃ জেলা কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে বারংবার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রায়গঞ্জ শহরের উপকন্ঠে চলছে ধানের ন্যাড়া পোড়ানো। আর এ’নিয়েই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন পরিবেশ চিন্তকেরা। ব্লক প্রশাসনের প্রচার অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই ন্যাড়া পোড়ানোতে অবশ্য  কৃষকদের কম অভিজ্ঞতাকেই দায়ী করেছেন রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। জানা গেছে, সামনেই সবজি চাষের মরশুম। সদ্যই জমি থেকে কাটা  হয়েছে ধান।

প্রতি বারের মতোই এবারও গ্রামাঞ্চলে ফের ধানখেত থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশ ছেয়েছে। ধান কাটার পরে গাছের গোড়ার অবশিষ্ট অংশ অর্থাৎ ন্যাড়া পোড়ানো চলছে জোড় কদমে। এদিন রায়গঞ্জ ব্লকের ১৯ নম্বর  মাড়াইকুড়া, ৯ নম্বর গৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা গেল দিনের আলোতে চলছে ন্যাড়া পোড়ানো। এতে জমির ক্ষতি হয় কি না জানতে চাইলে, শঙ্কর দাস জানান, তার বাড়ি নরম গ্রামে।

১০ বিঘা জমি আধি নিয়ে তিনি চাষ করছেন। তিনি বলেন, ধানের মরশুম শেষে  মেশিন দিয়ে ধান কাটা হওয়ায়, ধান গাছের অবশিষ্ট অংশ থেকে গেছে। সেই ন্যাড়া কাটার মতো শ্রমিক  পাচ্ছি না। ভুট্টা লাগানোর চাষ করার সময় পার হয়ে যাচ্ছে। তাই জমির নাড়া পুড়িয়ে দিচ্ছি। কৃষি দপ্তর নিষেধ করে, কিন্তু আমাদের কাছে এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই ন্যাড় পোড়া অংশটা সার হয়ে জমিতে মিশে যায়।

জমিতে চাষের কাজ করছিলেন শেফালি দাস নামে আরেক মহিলা শ্রমিক। তার কাছে ন্যাড়া পোড়ানোর কারন জিজ্ঞেস করতেই তিনি  জানান, আমি এখানে শ্রমিকের কাজ করছি। তাই জমির মালিক যা বলেন, সেটাই আমাদের করতে হয়।গ্রামে শ্রমিকের অভাব থাকায় এটাই সহজ পদ্ধতি।  নাড়া পোড়ানো নিয়ে সরকারি বিধিনিষেধ শুনি, কিন্তু এছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। এদিন এমন ঘটনা শুনে  ক্ষোভ উগরে দিলেন  পরিবেশ প্রেমীরা।

তাদের অভিযোগ, কৃষি দফতর থেকে লিফলেট, ব্যানার, হোর্ডিং লাগিয়ে সচেতনতার প্রচার হলেও প্রত্যক্ষ নজরদারি নেই। ফলে নাড়া পোড়ানো বেড়েই চলেছে। দোষী চাষিদের বিরুদ্ধে কড়া আইনগত পদক্ষেপ না করাতেই নাড়া পোড়ানো বন্ধ হচ্ছে না। অন্যদিকে, বারংবার এমন ন্যাড়া পোড়ানোর ঘটনাকে চাষীদের অজ্ঞতাকেই দায়ী করলেন রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রেজাউল হক।

তিনি বলেন, চাষি ভাইদের সরকারের পক্ষ থেকে বারংবার নিষেধ করা হয়েছে। তাসত্ত্বেও শ্রমিকের অভাবে এমনটা করছে। আমরা আবারও প্রচারে নামব। রায়গঞ্জ শহরের উপকন্ঠে এমন দুর্ভাগ্য জনক ঘটনায় সরকারি আধিকারিকেরা কত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, সেদিকেই তাকিয়ে  পরিবেশ চিন্তকেরা। 

Leave a Comment