



#ইসলামপুর: অনলাইন ক্লাসে একটানা বেশ কয়েক ঘণ্টা খুদে পড়ুয়াদের বসে থাকতে হচ্ছে মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা ডেক্সটপ এর সামনে। আর এর জেরে চোখের সমস্যায় ভুগছে অনেকে পড়ুয়াই। একটানা স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার জন্যই এই সমস্যা বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। করোনা সংক্রমনের জেরে পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন বন্ধ প্রায় পাঁচ মাস। এই দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইনে চলছে ওই পড়ুয়াদের ক্লাস।
ফলে একদিকে যেমন চোখের সমস্যায় ভুগছে রাজ্যের হাজার হাজার শিশু তেমনি অনেক পড়ুয়ারই শুরু হয়েছে মাথাব্যথা সহ বিভিন্ন উপসর্গ। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা বিষয়টি বারবার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালেও আদতে লাভ হয়নি কিছুই। অভিভাবকদের অভিযোগ, একসঙ্গে একটানা দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইনে ক্লাস করা চোখের পক্ষে ক্ষতিকারক এবং একঘেয়েমিও বটে। তাই অনলাইনে এই ক্লাসটি একটু সংক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
কিন্তু সমস্যা সেই তিমিরেই। খুদে পড়ুয়াদের কথা বা তাদের সমস্যা ভেবে তেমনভাবে একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন সমাধানের রাস্তায় হাটেননি ।শুধুই যে চোখের সমস্যা তাও নয় বরং বিশেষ করে পড়ুয়ারা পঠন-পাঠনের ফাঁকে মোবাইলের উপর আসক্ত হয়ে উঠেছে। এমনকি টাস্ক জমা দেবার পর মাঝেমধ্যেই পড়ুয়ারা একটু ফাঁক পেলে সে সময়ে মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে খেলছে গেম বা দেখছে কার্টুন সহ অন্যান্য বিষয়। ফলে তারা ক্রমশ এই ধরনের বিষয়গুলোর উপর আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এটি যে একটি ক্ষতিকারক দিক তা বুঝেছেন অভিভাবকরা।
কিন্তু সমস্যা সমাধানের কোনো পথ নেই তাদের কাছে। অন্যদিকে এই করোনা সংক্রমনের জন্য প্রাইভেট টিউটররা বাড়িতে আসছেন না। তারাও অনেকেই অনলাইন এর মাধ্যমে পড়াচ্ছেন ।স্কুলে এবং অন্যদিকে প্রাইভেট টিউটর দুই জায়গাতেই অনলাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লাসের জন্য স্বতস্ফূর্ততা হারাচ্ছে শৈশব। এই দুইয়ের চাপে রীতিমতন ঘরবন্দী শিশুরা মানসিক চাপের শিকার। শিশুদের একাংশের অভিযোগ, তাদের এই অনলাইনে পঠন-পাঠন দীর্ঘ সময় ধরে ভালো লাগছেনা। পাশাপাশি হঠাৎ করেই স্কুল ছেড়ে অনলাইনে অভ্যস্ত না হওয়ায় তাদের সমস্যা হচ্ছে।
ধীরে ধীরে অনলাইনে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার সুযোগ তাদের দেওয়া হয়নি। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ তথা প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ইসলামপুর শাখার সভাপতি ডাঃ শান্তনু দত্ত বলেন, একটানা অনলাইনে ক্লাস করা কখনই উচিত নয়। আধঘন্টা পর পর একটু চোখের বিশ্রামের প্রয়োজন। তা না হলে শুরু হবে চোখ ব্যথা, মাথা ব্যথা। এমনকি মাথা ব্যথা ক্রনিক পর্যায়েও পৌঁছে যেতে পারে। যেখান থেকে শুরু হবে নানান সমস্যা।
