



#মালবাজারঃ বুক পাবলিশার্স এন্ড সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক তথা কিশোর ভারতীর সম্পাদক এবং লেখক ত্রিদীব চট্টোপাধ্যায় ফিতা কেটে ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগার এর উদ্বোধন করলেন। মাল শহরের শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠান মাল আদর্শ বিদ্যাভবনের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান কর্মসূচি চলছে। তারই অঙ্গ হিসেবে এদিন ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭৫ বছর পূর্তি কর্মসূচি অর্থাৎ platinum জুবলীর লোগো অর্থাৎ প্রতীকেরও উদ্বোধন এদিন করা হয়।
বিদ্যালয়ের উদ্যোগকে অভিনব আখ্যা দিয়েছে বিভিন্ন মহল। মাল শহরের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাল আদর্শ বিদ্যাভবন কর্তৃপক্ষ এবার শহরে ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগার বের করে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করার উদ্যোগ নিয়েছে। যার আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হল। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকা বইয়ের জগতের বিদব্ধ ব্যক্তিত ত্রিদীব চট্টোপাধ্যায় বলেন এ ধরনের উদ্যোগ অভিনব। সকলকেই বইয়ের প্রতি টান বজায় রাখতেই হবে। বই কল্পনার বিস্তার ঘটায়।, বর্তমানে ইন্টারনেট মোবাইলের যুগেও বইয়ের প্রাসঙ্গিকতা আছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মৃগাঙ্গ ভট্টাচার্য, দেবপ্রিয়া সরকারের মতো উত্তর বঙ্গের লেখক লেখিকারাও আপ্লুত। তাদের এক কথায় বক্তব্য, মাল আদর্শ বিদ্যাভবনের উদ্যোগ অভিনব। মাল আদর্শ বিদ্যাভবনেরর ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক উৎপল কুমার পাল বলেন আমরা ৭৫ বছর উৎসব উদযাপন উপলক্ষেই বের করলাম। এর পরিচালনার অনেকটা দায়িত্ব পড়ুয়ারাই পালন করবে। বিভিন্ন ওয়ার্ডেও আমরা পুস্তক সরবরাহ করব। আগামী কয়েক মাস ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগার চালু রাখার উদ্যোগ নিচ্ছি। বিদ্যাললয়ের গ্রন্থাগারিক দেবাশীষ রায় বলেন আমরা ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারটিকে সমৃদ্ধ রাখবোই।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া তথা ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন কমিটির কার্যকরী সভাপতি দিপজ্যোতি চক্রবর্তী বলেন আমাদের সকলেই শৈশবের বড় অংশ জুড়ে ছিল গল্পের বই। এখন তা নেই। এ ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই বইয়ের প্রতি ভালোবাসা বজায় রাখতে সাড়া ফেলবে। বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি আনন্দ মোহন চক্রবর্তী বলেন আমরা যাবতীয় ক্ষেত্রে সহযোগিতা চাই। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার দত্ত এদিন সবিস্তারে বিদ্যালয়ের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন বরাবরই মাল আদর্শ বিদ্যাভবন অভিনব উদ্যোগের পথ দেখিয়েছে।
এদিন বিদ্যালয়ের platinum জুবলীর প্রতীক অর্থাৎ লোগো উদ্বোধন করা হয়। ১৯৭০ সালে বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছিলেন অশোক কুমার ঘোষ প্রদীপ কুমার কানুনগো। বর্তমানে শিলিগুড়ির বাসিন্দা। বিদ্যালয়ের টানেই তারা এদিন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দুজনেই বললেন এই উদ্যোগ চির স্মরণীয় হয়েই থাকবে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সন্ধ্যাতে ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগার সহ সকলে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।
