



#দেবলীনা ব্যানার্জী, রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের অধ্যাপক ডঃ তাপস পালের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনলেন তার স্ত্রী ময়ুরিকা রায়। বৃহস্পতিবার রাতে রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরে নিজের বাড়ি থেকে ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ।তাপস পালের স্ত্রী ময়ূরিকা রায় বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়।
এদিন আদালতে ডঃ তাপস পালের শুনানির পর তাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক পালের স্ত্রী রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়েরই আইন বিভাগের অধ্যাপিকা ময়ূরিকা রায়ের অভিযোগ, বিবাহের পর থেকেই তাপস পাল তাকে শারীরিক অত্যাচার করার পাশাপাশি, অশ্লীল গালিগালাজ, খুনের হুমকি সহ খুন করার চেষ্টাও করেন। বারংবার নিজের স্ত্রীর বাবা মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে টাকাও নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
এমনকি একাধিক মহিলার সাথে তাপস পালের বিবাহ বহিভূত সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। সুতনুকা দাস নামে একটি ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্কে লিপ্ত ছিল দাবি করে তিনি বলেন, “আমার চোখের সামনে আমারই ঘরে দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় আমার স্বামী। শ্বাশুড়ি চোখের সামনে সমস্তটাই দেখে নির্লিপ্ত ছিলেন, উলটে আমাকেই মরতে বলেন। ওই মেয়েটি আমার স্বামী ও শ্বাশুড়ির সামনে চুলের মুঠি ধরে আমাকে পাঞ্চ করে।
আমি জেনেছি বিশ্বভারতীতে ওই সুতনুকাকে এবছর এম এ এডুকেশন এ ভর্তি করিয়েছে আমার স্বামী। বোলপুরে ওরা ভাড়া বাড়িতে একসাথে লিভ ইন এ থাকে। বিয়ের আগে থেকেই ওই মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে আমি ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে জানতে পারি।এর আগে মেয়েটি প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়লে ব্যাঙ্গালোরে ওকে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করিয়েছেন উনি। আমি চাই ওই মেয়েটির আর আমার স্বামীর চরম শাস্তি হোক। এছাড়া একজন শিক্ষকের এমন নোংরা চেহারা সকলের সামনে আসুক।
এর আগেও আমাদের প্রাক্তন ভিসি অনিল ভুঁইমালি ও রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার আমাকে বলেছিলেন আমি অভিযোগ জানালে ওনারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু আমি এতদিন নিজেই ওর কথা ভেবে চুপচাপ সব সহ্য করছিলাম।” অন্যদিকে স্ত্রী আনা অভিযোগের বিষয় নিয়ে অধ্যাপক তাপস পাল জানান,যা হবার তা আইনি পথে হবে। এদিন অধ্যাপক তাপস পালের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে সমস্ত কিছু তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কে জানিয়েছেন। ভিসি তাকে পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন।
