News Britant

চেলনদীর ধারে মিলন মেলায় তিন প্রজন্ম একত্রিত হলো

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

 

#মালবাজারঃ কল্যাণ সেনগুপ্ত, প্রবাল চৌধুরী, মনি ঘোষ, গৌর গোস্বামী এই মানুষেরা সবাই আজ সত্তর বসন্ত পার করে ফেলেছেন। বসবাস সুত্রে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকেন। পুত্র কন্যা নাতি নাতনি নিয়ে সবার ভরা সংসার। তবু মাটির টানে তারা বছরে একদিন আসেন রানীচেরা চাবাগানে চেল নদীর ধারে। কারণ এরা সকলেই কেউ কর্মসুত্রে, আবার কেউ জন্মসুত্রে এই চাবাগানের সঙ্গে জরিত।

কেউ গত শতকের পাঁচের দশকে কিম্বা কর্মসুত্রে এই চাবাগানে এসেছিলেন। তারপর কয়েক দশক চাকরি করে অবসর নিয়েছেন। কেউ আবার এই চাবাগানে জন্মে ছিলেন। প্রাথমিক পাঠ চাবাগানের স্কুলে। তারপর কর্ম সুত্রে রেল, কিম্বা সরকারি চাকরি করেছেন। অবসর নিয়ে  এখন বাইরেই থাকেন। এভাবেই সবাই একত্রিত হন মিলন মেলায়। সাথে নিয়ে আসেন ছেলে মেয়ে ও নাতি নাতনিদের।

রবিবার বড়দিনের সুন্দর দিনে এই রকম ভাবে চেল নদীর ধারে প্রায় শ দুয়েক মানুষ ওয়েস্টার্ন ডুয়ার্স ক্লাবের গালফ মাঠে করোনা সংকট কাটিয়ে দুই বছর বাদে  আবারও একত্রিত হয়েছিলেন। পুরানো সেই আটচালা স্কুল দেখালেন, চেনালেন সেই স্টাফ কোয়ার্টার  নতুন প্রজন্মের উত্তরসূরীদের। কেউ আবার চেল নদীর ধারে শ্মশানে রেখে গেছেন মা, ঠাকুরমার শেষ  শেষ স্মৃতি।

সেই সব হাতড়ে বেরালেন অনেক। কেউ আবার পঞ্চাশ বছর বাদে স্কুল জীবনের বন্ধুকে দেখে যেন নতুন করে চিনতে হচ্ছে। অনেকের ফেলে আসা দিনের স্মৃতি মনে করলেন। এভাবেই গোটা দিন আড্ডা দিয়ে তারা কাটালেন তারপর সুর্য ডুবতেই ফিরে নিজের ডেরায়।

বাস্তবিকই ডুয়ার্সের চাবাগান গুলির বাবু স্টাফ দের একটা ঐতিহ্য ছিল।এক সময় চাকরি করতে এসে পরস্পরের আত্মীয় হয়ে উঠেছিলেন। রক্তের আত্মীয়তা না থাকলেও  মামা,কাকার সম্পর্কে জরিয়ে পড়েছিলেন। এই রকম  বিবরণ সমরেশ বসুর উপন্যাস ‘উত্তরাধিকারে’ রয়েছে। বর্তমানে সেই ঐতিহ্য এখন দূর্লভ হয়ে গেছে। তবু সেই মাটির টানেই পশ্চিম ডুয়ার্সের রানীচেরা চা বাগানের প্রাক্তনী মিলিত হয়েছিলেন।

Leave a Comment